ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৃষ্টি প্রার্থনায় খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার নামাযে হাউমাউ করে কাঁদলেন কয়রাবাসী

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনাবৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি প্রার্থনায় খোলা আকাশের নিচে বিশেষ (ইস্তিসকার) নামায আদায় করেছেন কয়রাবাসী। পরে বিশেষ মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দু’হাত উচু কওে হাউমাউ করে অঝরে কাঁদলেন নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় উপজেলার আবুবকর মসজিদ সংলগ্ন কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে এ নামায অনুষ্ঠিত হয়।

মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড গরমের তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়রার জনজীবন। পিচগলা রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। বৃষ্টির দেখা নেই এক মাসের বেশি। গত দুই সপ্তাহ অস্বাভাবিক তাপমাত্রা। পুকুর, নদী নালা, খাল শুকিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আশংকাজনকভাবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না গভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। মাঠে রোদে পড়ে কৃষকের ফসলও নষ্ট হচ্ছে। আমের গুটি ঝরে পড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রচন্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা এবং বৃষ্টি হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনা করে খোলা আকাশের নিচে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামায আদায় করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনার আয়োজন করেন তারা। নামাযে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছিল।

এ সময় কৃষক আঃ গফুর জানান, বৃষ্টি বাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবৗয়েল) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাযের মধ্যে আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করেছেন তারা।

এদিকে কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, কোরআন হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারনে মহান আল্লাহ তায়লা এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামায আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান আল্লাহর নিকট পাপের তওবা করে ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন।

ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় ইস্তিসকার নামায পড়ান মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, খুৎবা পাঠ করেন মাওঃ মুফতি জমিরুল ইসলাম, দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওঃ নেয়ামতুল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ আইয়ুব আলী, সাবেক কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, মাওঃ আশরাফুল ইসলাম, মাওঃ মিজানুর রহমান, মাওঃ বেলাল হোসেন ও হাফেজ মনিরুজ্জামান সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও কয়েক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃষ্টি প্রার্থনায় খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার নামাযে হাউমাউ করে কাঁদলেন কয়রাবাসী

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

অনাবৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি প্রার্থনায় খোলা আকাশের নিচে বিশেষ (ইস্তিসকার) নামায আদায় করেছেন কয়রাবাসী। পরে বিশেষ মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দু’হাত উচু কওে হাউমাউ করে অঝরে কাঁদলেন নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় উপজেলার আবুবকর মসজিদ সংলগ্ন কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে এ নামায অনুষ্ঠিত হয়।

মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড গরমের তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়রার জনজীবন। পিচগলা রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। বৃষ্টির দেখা নেই এক মাসের বেশি। গত দুই সপ্তাহ অস্বাভাবিক তাপমাত্রা। পুকুর, নদী নালা, খাল শুকিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আশংকাজনকভাবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না গভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। মাঠে রোদে পড়ে কৃষকের ফসলও নষ্ট হচ্ছে। আমের গুটি ঝরে পড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রচন্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা এবং বৃষ্টি হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনা করে খোলা আকাশের নিচে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামায আদায় করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনার আয়োজন করেন তারা। নামাযে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছিল।

এ সময় কৃষক আঃ গফুর জানান, বৃষ্টি বাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবৗয়েল) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাযের মধ্যে আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করেছেন তারা।

এদিকে কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, কোরআন হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারনে মহান আল্লাহ তায়লা এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামায আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান আল্লাহর নিকট পাপের তওবা করে ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন।

ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় ইস্তিসকার নামায পড়ান মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, খুৎবা পাঠ করেন মাওঃ মুফতি জমিরুল ইসলাম, দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওঃ নেয়ামতুল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ আইয়ুব আলী, সাবেক কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, মাওঃ আশরাফুল ইসলাম, মাওঃ মিজানুর রহমান, মাওঃ বেলাল হোসেন ও হাফেজ মনিরুজ্জামান সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও কয়েক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।

 

বাখ//আর