ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন শংকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের উষ্ণতা সর্বোচ্চ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর তাপমাত্রার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ এবং আংশিকভাবে এল নিনো ওয়েদার প্যাটার্নকে এ উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগামী ৫ বছরের যে কোনো একটি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে যাচ্ছে। যা ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেবে।

মানবসৃষ্ট নানা কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। এর সাথে যোগ হয়েছে ‘এল নিনো’ বা উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রভাব। এরফলেপ্রথমবারের মতো পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এল নিনো ওয়েদার প্যাটার্ন বা উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রভাবে গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল পানি গরম হয়ে যায়।উপরের বায়ুমন্ডল তপ্ত হয়ে কমে যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। যার ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এসময় বৈশ্বিক আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করে। এই উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের কারণে ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ৫০ শতাংশ ছিলো। আগামী কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগরে এই উষ্ণ স্রোত তৈরি হবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

তাদের মতে, আগামী ৫ বছরের যে কোনো একটি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে যাচ্ছে। যা ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেবে। ওই বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

সংস্থাটি জানায়, তাদের হিসাবে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাপমাত্রা গড়ে এক দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যা রেকর্ড হিসেবে ধরা হবে। এর ফলে মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা তিন গুণ বাড়তে পারে। গত পাঁচটি শীতকালে তাপমাত্রার এই পরিমাণ বৃদ্ধি মেরু অঞ্চল দেখেনি। উত্তর ইউরোপ, আলাস্কা ও উত্তর সাইবেরিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। অন্যদিকে, অ্যামাজন ও অস্ট্রেলিয়ায় খরা হতে পারে।

এর আগে বিশ্বের উষ্ণতম সময় হিসেবে ধরা হতো ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময়কে। ২০১৬ সাল সবচেয়ে উষ্ণ ছিল বলে মনে করা হয়। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে।

পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর আশঙ্কা থাকলেও সেই বৃদ্ধি সাময়িককালের জন্য হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ে নতুন শংকা

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের উষ্ণতা সর্বোচ্চ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর তাপমাত্রার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ এবং আংশিকভাবে এল নিনো ওয়েদার প্যাটার্নকে এ উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগামী ৫ বছরের যে কোনো একটি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে যাচ্ছে। যা ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেবে।

মানবসৃষ্ট নানা কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। এর সাথে যোগ হয়েছে ‘এল নিনো’ বা উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রভাব। এরফলেপ্রথমবারের মতো পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এল নিনো ওয়েদার প্যাটার্ন বা উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রভাবে গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল পানি গরম হয়ে যায়।উপরের বায়ুমন্ডল তপ্ত হয়ে কমে যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। যার ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এসময় বৈশ্বিক আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করে। এই উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের কারণে ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ৫০ শতাংশ ছিলো। আগামী কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগরে এই উষ্ণ স্রোত তৈরি হবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

তাদের মতে, আগামী ৫ বছরের যে কোনো একটি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে যাচ্ছে। যা ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেবে। ওই বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

সংস্থাটি জানায়, তাদের হিসাবে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাপমাত্রা গড়ে এক দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যা রেকর্ড হিসেবে ধরা হবে। এর ফলে মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা তিন গুণ বাড়তে পারে। গত পাঁচটি শীতকালে তাপমাত্রার এই পরিমাণ বৃদ্ধি মেরু অঞ্চল দেখেনি। উত্তর ইউরোপ, আলাস্কা ও উত্তর সাইবেরিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। অন্যদিকে, অ্যামাজন ও অস্ট্রেলিয়ায় খরা হতে পারে।

এর আগে বিশ্বের উষ্ণতম সময় হিসেবে ধরা হতো ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময়কে। ২০১৬ সাল সবচেয়ে উষ্ণ ছিল বলে মনে করা হয়। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে।

পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর আশঙ্কা থাকলেও সেই বৃদ্ধি সাময়িককালের জন্য হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।