ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি আন্দোলন করতেই জানে না : ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বলে আমাদের নিরাপদে প্রস্থান নিতে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে। কোন মুখে তারা এমন কথা বলে? তারা তো আন্দোলন করতেই জানে না। কাদের বলেন, তারা মুখে দেশনেত্রী বলে ফেনা তোলে অথচ নেত্রীর জন্য একটি মিছিলও করতে পারে না। লজ্জা করে না।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, তারা যদি মাঠে নামে তাহলে রাজপথে খেলা হবে। তারা শেখ হাসিনাকেও সম্মান করতে জানে না। শেখ হাসিনাকে হাসিনা বলে ডাকে অথচ শেখ হাসিনা দয়া করে তাদের নেত্রীকে দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি শুধু বলে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। গাজীপুরে আসেন ফখরুল ভাই! দেখেন ঢল কাকে বলে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন রঙিন খোয়াবেই থাকবে। বিএনপি বিদেশের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিদেশিদের জিজ্ঞেস করুন। কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে ইলেকশন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবেই ইলেকশন হবে। বিএনপি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত।

সিলেটে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিএনপি এখন দিনের আলোতে অমাবস্যা দেখে, পূর্ণিমার রাতেও অমাবস্যা দেখে। তারা দেশের উন্নয়ন দেখে না। তারা বলে শুধু জনতার ঢল, অথচ তাদের সিলেটে জনতার ঢেউ নেই, সেখানে আছে সুরমার ঢেউ। আর এখানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ। সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। এখানে শুধু মহানগর, ওখানে ৫ জেলা। মিলিয়ে দেখুন। যেখানে সমাবেশ, সেখানে সারা দেশ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই রওনা দেন। কারণ ওখানে শুধু খাওয়া আর খাওয়া।

তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলোতে খানপিনা ভালোই হচ্ছে। বিএনপি মনে হয় ভালোই আছে, কাঁথা, বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে সাত দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে চলে যাচ্ছে। তারা গরুর মাংস খাচ্ছে, মুরগির মাংস খাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা (বিএনপি নেতারা) ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব দেখুন, আপত্তি নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুনিয়ার সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। শেখ হাসিনা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। আমি নেত্রীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১৩ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তাই খেলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারো আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। কাঁচপুর ব্রিজে শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলক পুড়িয়ে ফেলেছে। এসব আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। প্রস্তুত হয়ে যান। ভোট চুরি, দুর্নীতি লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। পদ্মা সেতু হয়ে গেল নিজের টাকায়। বিএনপির মনে বড় জ্বালা। কালো চশমা পড়ে তারা কিছুই দেখতে পায় না।

এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করে জিয়া। আর ২১ আগস্টের পরিকল্পনা করে তার ছেলে তারেক রহমান। বিএনপি-জামায়াত দেশের সব অর্জন নস্যাতের চেষ্টা করছে। এরা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রু।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলেনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। আর দুপুর ১২ টার আগেই পুরো মাঠ নেতাকর্মীদের ঢলে পূর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলন শেষে বর্তমান কমিটির সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে পুনরায় সভাপতি ও আতাউল্লাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি আন্দোলন করতেই জানে না : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৭:১৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বলে আমাদের নিরাপদে প্রস্থান নিতে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে। কোন মুখে তারা এমন কথা বলে? তারা তো আন্দোলন করতেই জানে না। কাদের বলেন, তারা মুখে দেশনেত্রী বলে ফেনা তোলে অথচ নেত্রীর জন্য একটি মিছিলও করতে পারে না। লজ্জা করে না।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, তারা যদি মাঠে নামে তাহলে রাজপথে খেলা হবে। তারা শেখ হাসিনাকেও সম্মান করতে জানে না। শেখ হাসিনাকে হাসিনা বলে ডাকে অথচ শেখ হাসিনা দয়া করে তাদের নেত্রীকে দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি শুধু বলে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। গাজীপুরে আসেন ফখরুল ভাই! দেখেন ঢল কাকে বলে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন রঙিন খোয়াবেই থাকবে। বিএনপি বিদেশের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিদেশিদের জিজ্ঞেস করুন। কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে ইলেকশন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবেই ইলেকশন হবে। বিএনপি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত।

সিলেটে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিএনপি এখন দিনের আলোতে অমাবস্যা দেখে, পূর্ণিমার রাতেও অমাবস্যা দেখে। তারা দেশের উন্নয়ন দেখে না। তারা বলে শুধু জনতার ঢল, অথচ তাদের সিলেটে জনতার ঢেউ নেই, সেখানে আছে সুরমার ঢেউ। আর এখানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ। সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। এখানে শুধু মহানগর, ওখানে ৫ জেলা। মিলিয়ে দেখুন। যেখানে সমাবেশ, সেখানে সারা দেশ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই রওনা দেন। কারণ ওখানে শুধু খাওয়া আর খাওয়া।

তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলোতে খানপিনা ভালোই হচ্ছে। বিএনপি মনে হয় ভালোই আছে, কাঁথা, বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে সাত দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে চলে যাচ্ছে। তারা গরুর মাংস খাচ্ছে, মুরগির মাংস খাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা (বিএনপি নেতারা) ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব দেখুন, আপত্তি নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুনিয়ার সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। শেখ হাসিনা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। আমি নেত্রীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১৩ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তাই খেলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারো আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। কাঁচপুর ব্রিজে শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলক পুড়িয়ে ফেলেছে। এসব আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। প্রস্তুত হয়ে যান। ভোট চুরি, দুর্নীতি লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। পদ্মা সেতু হয়ে গেল নিজের টাকায়। বিএনপির মনে বড় জ্বালা। কালো চশমা পড়ে তারা কিছুই দেখতে পায় না।

এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করে জিয়া। আর ২১ আগস্টের পরিকল্পনা করে তার ছেলে তারেক রহমান। বিএনপি-জামায়াত দেশের সব অর্জন নস্যাতের চেষ্টা করছে। এরা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রু।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলেনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। আর দুপুর ১২ টার আগেই পুরো মাঠ নেতাকর্মীদের ঢলে পূর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলন শেষে বর্তমান কমিটির সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে পুনরায় সভাপতি ও আতাউল্লাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।