ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে, পাতি নেতারা সরকার হটাবে: কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর কথা শুনে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লুর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। হতাশা থেকে এখন তারা অসুস্থতায় পড়েছেন। ৫৪ দলের নেতারা ৫৪ মতে বিভক্ত। বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে। আর পাতি নেতারা বলছেন, সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আলোচনা সভার তিনি এই মন্তব্য করেন।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের সাগরের উত্তাল ঢেউ দূরে থাক নদীতেও ঢেউও তুলতে পারলো না বিএনপি। তারা আবার সরকার পতন ঘটাবে কীভাবে?

সাধারণ সম্পাদক বলেন, হতাশায় বিএনপি জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী। সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব অসুস্থ, মির্জা আব্বাস অসুস্থ, মার্কিন সরকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনে তারা বিষবর্ণ। আসলে কি অসুস্থ? নাকি রাজনৈতিক অসুস্থ? তারপর শুনি মান্নান সাহেব হাসপাতালে, আ স ম রব ভাইও হাসপাতালে, হাসপাতালে কি হতাশা থেকে অসুস্থ হয়ে গেছেন?

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পাকিস্তান ছাড়া কোথাও নেই। তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান। আইনি মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসে না। বিএনপির অস্বাভাবিক আবদার পরিবর্তনে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণে তারা নির্বাচন কমিশন চায় না।

আন্দোলনের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে, সেটা আমরা জানি। যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছেন, তাদেরও খবর আছে।

বিএনপির জন্য আরো খারাপ খবর আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫৪ দল, ৫৪ মত, ৫৪ পথ। ফখরুল নেই, মির্জা আব্বাস হাসপাতালে এখনো পাতি নেতারা কথা বলছে। এক পাতি নেতা বলেছে, সরকার হটাবেন আন্দোলনের সুনামী দিয়ে। হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল। আন্দোলন করলেন ১৫ বছর ধরে, আন্দোলনে নদীর ঢেউ পেলাম না। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ তো দেখিনি। যারা ঢেউ বানাতে পারেনি রাজপথে, এখন সেই আন্দোলনেও মানবিকতা চেয়ে কতদিন টিকবে বলা মুশকিল। আন্দোলনের ঘরে এখন আবার হতাশা নেমে এসেছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সরকারের পরিবর্তন যদি চান নির্বাচনে আসুন। আমরা যারা সরকারে আছি, এই সরকার হবে রুটিন সরকার। এই সরকার নির্বাচনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না। হোম মিনিস্টারের যে কাজ সেই কাজ তখন নির্বাচন কমিশন করবে। পুলিশের লোকজনকে ট্রান্সফার, প্রমোশন দেওয়া, এসব কাজ তখন হোম মিনিস্টার করবে না, করবে নির্বাচন কমিশন।

কাদের বলেন, মুখে বলি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, নেতা হয়ে মঞ্চে উঠলে আদর্শের কথা মনে থাকে না। নেতাদের ভিড়ে আসল কর্মী চেনা দায়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মীবাহিনী দরকার। বাংলাদেশের জন্য সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজিতে মাস্তানি করবে তাদের সাথে কোনো আপস নয়, তাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চলবে। মুখে আওয়ামী লীগের আদর্শ লালন করবেন অন্তরে সে আদর্শ লালন করবেন না তেমন নেতার দরকার নেই।

বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে, পাতি নেতারা সরকার হটাবে: কাদের

সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোথাও নেই, অহেতুক তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান, আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসে না। অস্বাভাবিক আবদার পরিবর্তনে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণেই নির্বাচন কমিশন চায় না বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে সেটা আমরা জানি, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছে তাদের খবর আছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত। রাতের অন্ধকারে তারা খুঁজে পায় অন্তর জ্বালা। অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিড়ে শিগগিরই চালু হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্টো রেল। এসব মেগা প্রজেক্টের ভিড়ে বিএনপির অন্তর জ্বালা। এ বছরের সেপ্টেম্বরের আগে গাজীপুর থেকে রেপিড বাস চালু করা হবে। এ বছরেই উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হবে।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নেতারা মঞ্চে বসেন, বক্তৃতা করতে না পারলে মুখের উপরে শ্রাবণ বর্ষার আকাশে মেঘ এসে পড়ে। মন খারাপ হবে কেন? সবার বক্তৃতা করতে হবে কেন? ভাগ ভাগ করতে হবে। অমুক দিন আমি, অমুক দিন সে। মঞ্চে নেতা বসে আছেন, সবাইকে বিশেষণ দিয়ে দিয়ে নাম বলতে হবে কেন? সভাপতি, প্রধান অতিথির কথা বলে বক্তব্য শুরু করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তৃতীয় বার সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল করতে হবে, কলহমুক্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাবে কে? আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকাবে কে? আমাদের কলহ আমাদের সমস্যা! মিটিংয়ে একজন অন্যজনকে কত প্রশংসা করেন। আর মিটিং থেকে বের হলেই গড়মিল! ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে, পাতি নেতারা সরকার হটাবে: কাদের

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর কথা শুনে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লুর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। হতাশা থেকে এখন তারা অসুস্থতায় পড়েছেন। ৫৪ দলের নেতারা ৫৪ মতে বিভক্ত। বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে। আর পাতি নেতারা বলছেন, সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আলোচনা সভার তিনি এই মন্তব্য করেন।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের সাগরের উত্তাল ঢেউ দূরে থাক নদীতেও ঢেউও তুলতে পারলো না বিএনপি। তারা আবার সরকার পতন ঘটাবে কীভাবে?

সাধারণ সম্পাদক বলেন, হতাশায় বিএনপি জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী। সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব অসুস্থ, মির্জা আব্বাস অসুস্থ, মার্কিন সরকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনে তারা বিষবর্ণ। আসলে কি অসুস্থ? নাকি রাজনৈতিক অসুস্থ? তারপর শুনি মান্নান সাহেব হাসপাতালে, আ স ম রব ভাইও হাসপাতালে, হাসপাতালে কি হতাশা থেকে অসুস্থ হয়ে গেছেন?

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পাকিস্তান ছাড়া কোথাও নেই। তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান। আইনি মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসে না। বিএনপির অস্বাভাবিক আবদার পরিবর্তনে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণে তারা নির্বাচন কমিশন চায় না।

আন্দোলনের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে, সেটা আমরা জানি। যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছেন, তাদেরও খবর আছে।

বিএনপির জন্য আরো খারাপ খবর আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫৪ দল, ৫৪ মত, ৫৪ পথ। ফখরুল নেই, মির্জা আব্বাস হাসপাতালে এখনো পাতি নেতারা কথা বলছে। এক পাতি নেতা বলেছে, সরকার হটাবেন আন্দোলনের সুনামী দিয়ে। হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল। আন্দোলন করলেন ১৫ বছর ধরে, আন্দোলনে নদীর ঢেউ পেলাম না। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ তো দেখিনি। যারা ঢেউ বানাতে পারেনি রাজপথে, এখন সেই আন্দোলনেও মানবিকতা চেয়ে কতদিন টিকবে বলা মুশকিল। আন্দোলনের ঘরে এখন আবার হতাশা নেমে এসেছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সরকারের পরিবর্তন যদি চান নির্বাচনে আসুন। আমরা যারা সরকারে আছি, এই সরকার হবে রুটিন সরকার। এই সরকার নির্বাচনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না। হোম মিনিস্টারের যে কাজ সেই কাজ তখন নির্বাচন কমিশন করবে। পুলিশের লোকজনকে ট্রান্সফার, প্রমোশন দেওয়া, এসব কাজ তখন হোম মিনিস্টার করবে না, করবে নির্বাচন কমিশন।

কাদের বলেন, মুখে বলি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, নেতা হয়ে মঞ্চে উঠলে আদর্শের কথা মনে থাকে না। নেতাদের ভিড়ে আসল কর্মী চেনা দায়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মীবাহিনী দরকার। বাংলাদেশের জন্য সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজিতে মাস্তানি করবে তাদের সাথে কোনো আপস নয়, তাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চলবে। মুখে আওয়ামী লীগের আদর্শ লালন করবেন অন্তরে সে আদর্শ লালন করবেন না তেমন নেতার দরকার নেই।

বিএনপির আসল নেতারা হাসপাতালে, পাতি নেতারা সরকার হটাবে: কাদের

সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোথাও নেই, অহেতুক তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান, আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রশ্নই আসে না। অস্বাভাবিক আবদার পরিবর্তনে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণেই নির্বাচন কমিশন চায় না বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে সেটা আমরা জানি, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছে তাদের খবর আছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত। রাতের অন্ধকারে তারা খুঁজে পায় অন্তর জ্বালা। অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিড়ে শিগগিরই চালু হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্টো রেল। এসব মেগা প্রজেক্টের ভিড়ে বিএনপির অন্তর জ্বালা। এ বছরের সেপ্টেম্বরের আগে গাজীপুর থেকে রেপিড বাস চালু করা হবে। এ বছরেই উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হবে।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নেতারা মঞ্চে বসেন, বক্তৃতা করতে না পারলে মুখের উপরে শ্রাবণ বর্ষার আকাশে মেঘ এসে পড়ে। মন খারাপ হবে কেন? সবার বক্তৃতা করতে হবে কেন? ভাগ ভাগ করতে হবে। অমুক দিন আমি, অমুক দিন সে। মঞ্চে নেতা বসে আছেন, সবাইকে বিশেষণ দিয়ে দিয়ে নাম বলতে হবে কেন? সভাপতি, প্রধান অতিথির কথা বলে বক্তব্য শুরু করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তৃতীয় বার সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল করতে হবে, কলহমুক্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাবে কে? আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকাবে কে? আমাদের কলহ আমাদের সমস্যা! মিটিংয়ে একজন অন্যজনকে কত প্রশংসা করেন। আর মিটিং থেকে বের হলেই গড়মিল! ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।