ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ৫০৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// লিমন মিয়া, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি//

উজান থেকে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি। সামান্য বৃষ্টিতে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঝর্ণা (ছড়া) দিয়ে পানির সঙ্গে নেমে আসা বালু ছড়িয়ে পড়ছে এপারের কৃষি জমিতে। দিন দিন বালুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বালুর আস্তরণে উর্বরতা হারাচ্ছে এসব কৃষি জমি। একসময় যেখানে ছিল আবাদি কৃষি জমি, বিশাল বিশাল পুকুর-খাল বালু পড়ে তা মরুভুমিতে পরিণত হয়েছে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী।

একমাত্র ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে সেখানকার কৃষক। বালুর আগ্রাসনের শিকার উপজেলার শতাধিক একর জমি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এখন পরিবার চালাতে দিনমজুর, বারকি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কৃষকদের অভিযোগ- সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই কৃষি অফিসের। সুনামগঞ্জ জেলা সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে এ পাঁচটি উপজলার কয়েক হাজার একর চাষযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে।

বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচটি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা প্রতিটি গ্রামের চিত্র প্রায় একই ধরণের। অধিকাংশ কৃষি জমির ওপর ৩-৪ ফুট বালুর আস্তরণের কারণে ফসল ফলানো যাচ্ছে না জমিতে। এতে কৃষক পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দশা। একমাত্র ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা কৃষকদের জীবন সংগ্রাম চলছে অতি কষ্টে।

তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রজনীলাইন গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, একই গ্রামের সমাজকর্মী হেকমত আলীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বালু আগ্রাসনের সমস্যা বহু দিনের। তবে ২০০৫ সাল থেকে প্রকট আকার ধারণ করেছে। তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষাকালে বালুর সঙ্গে বড় বড় পাথরও নেমে আসে। শুধু যে কৃষি জমি তা নয়, এ আগ্রাসনের শিকার বসতবাড়ি, স্কুল, বাজার। বালুর কারণে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এলাকা। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সরকার এগিয়ে আসবে এমন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন সেখানকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে সব জমিতে বালু পড়েছে সেখানে বাদাম ও মিষ্টি আলু চাষ করা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

// লিমন মিয়া, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি//

উজান থেকে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি। সামান্য বৃষ্টিতে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঝর্ণা (ছড়া) দিয়ে পানির সঙ্গে নেমে আসা বালু ছড়িয়ে পড়ছে এপারের কৃষি জমিতে। দিন দিন বালুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বালুর আস্তরণে উর্বরতা হারাচ্ছে এসব কৃষি জমি। একসময় যেখানে ছিল আবাদি কৃষি জমি, বিশাল বিশাল পুকুর-খাল বালু পড়ে তা মরুভুমিতে পরিণত হয়েছে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী।

একমাত্র ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে সেখানকার কৃষক। বালুর আগ্রাসনের শিকার উপজেলার শতাধিক একর জমি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এখন পরিবার চালাতে দিনমজুর, বারকি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কৃষকদের অভিযোগ- সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই কৃষি অফিসের। সুনামগঞ্জ জেলা সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে এ পাঁচটি উপজলার কয়েক হাজার একর চাষযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে।

বালুর আগ্রাসনে বিপন্ন হচ্ছে তাহিরপুর সীমান্তের কৃষি জমি

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচটি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা প্রতিটি গ্রামের চিত্র প্রায় একই ধরণের। অধিকাংশ কৃষি জমির ওপর ৩-৪ ফুট বালুর আস্তরণের কারণে ফসল ফলানো যাচ্ছে না জমিতে। এতে কৃষক পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দশা। একমাত্র ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা কৃষকদের জীবন সংগ্রাম চলছে অতি কষ্টে।

তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রজনীলাইন গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, একই গ্রামের সমাজকর্মী হেকমত আলীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বালু আগ্রাসনের সমস্যা বহু দিনের। তবে ২০০৫ সাল থেকে প্রকট আকার ধারণ করেছে। তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষাকালে বালুর সঙ্গে বড় বড় পাথরও নেমে আসে। শুধু যে কৃষি জমি তা নয়, এ আগ্রাসনের শিকার বসতবাড়ি, স্কুল, বাজার। বালুর কারণে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এলাকা। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সরকার এগিয়ে আসবে এমন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন সেখানকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে সব জমিতে বালু পড়েছে সেখানে বাদাম ও মিষ্টি আলু চাষ করা যেতে পারে।