ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাড়াবাড়ি করলে ‘পেন্ডিং’ থাকা উত্তম-মাধ্যম শুরু হবে : নানক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ওদের (বিএনপির) একটি মাইর ‘পেন্ডিং’ আছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওদের একটি মাইর ‘পেন্ডিং’ আছে। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন করেছে, হাত-পা কেটেছে, চোখ উপড়ে ফেলেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল- কোনো গোলোযোগ করা যাবে না। আমরা সেদিন কোনো প্রতিশোধ নিইনি। সেই মাইরটা কিন্তু ‘পেন্ডিং’ রয়েছে। সমাবেশের নামে কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই পেন্ডিং থাকা উত্তম-মাধ্যম কিন্তু শুরু হয়ে যাবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজ পড়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহারা দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

১০ ডিসেম্বর নিয়ে রাজধানীবাসীকে আশ্বস্ত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি যদি কোনো জায়গায় হাত দেয়, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে, গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাদের জন্য পাহারায় আমরা রয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। ওরা যদি কোনো জায়গায় হাত দেয়, সেই হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

নানক আরো বলেন, আ স ম আব্দুর রব, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মান্না, নূরও বিএনপির সঙ্গে মিলেছে। তারা একদলের এক নেতা। তাদের বিষয়ে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। ওদের একটা মাইর পেন্ডিং আছে। বাড়াবাড়ি করলে সেই মাইর শুরু হয়ে যাবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমরা ছাত্রলীগের সম্মেলন পিছিয়ে দেই।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নেত্রীর নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন করা হয়েছে। নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন- সম্মেলন শেষ হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ-ডেকোরেশন কোনোকিছুই থাকতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সব অবকাঠামো সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু চোরেরা না শুনে ধর্মের কাহিনি- বিএনপি’র গাত্রদাহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কারণ ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানিরা বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের গাত্রদাহ কারণ- ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বাংলার স্বাধীনতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে শান্তির সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাড়াবাড়ি করলে ‘পেন্ডিং’ থাকা উত্তম-মাধ্যম শুরু হবে : নানক

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ওদের (বিএনপির) একটি মাইর ‘পেন্ডিং’ আছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওদের একটি মাইর ‘পেন্ডিং’ আছে। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন করেছে, হাত-পা কেটেছে, চোখ উপড়ে ফেলেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল- কোনো গোলোযোগ করা যাবে না। আমরা সেদিন কোনো প্রতিশোধ নিইনি। সেই মাইরটা কিন্তু ‘পেন্ডিং’ রয়েছে। সমাবেশের নামে কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই পেন্ডিং থাকা উত্তম-মাধ্যম কিন্তু শুরু হয়ে যাবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজ পড়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহারা দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

১০ ডিসেম্বর নিয়ে রাজধানীবাসীকে আশ্বস্ত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি যদি কোনো জায়গায় হাত দেয়, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে, গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাদের জন্য পাহারায় আমরা রয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। ওরা যদি কোনো জায়গায় হাত দেয়, সেই হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

নানক আরো বলেন, আ স ম আব্দুর রব, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মান্না, নূরও বিএনপির সঙ্গে মিলেছে। তারা একদলের এক নেতা। তাদের বিষয়ে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। ওদের একটা মাইর পেন্ডিং আছে। বাড়াবাড়ি করলে সেই মাইর শুরু হয়ে যাবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমরা ছাত্রলীগের সম্মেলন পিছিয়ে দেই।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নেত্রীর নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন করা হয়েছে। নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন- সম্মেলন শেষ হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ-ডেকোরেশন কোনোকিছুই থাকতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সব অবকাঠামো সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু চোরেরা না শুনে ধর্মের কাহিনি- বিএনপি’র গাত্রদাহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কারণ ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানিরা বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের গাত্রদাহ কারণ- ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বাংলার স্বাধীনতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে শান্তির সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।