ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাঁশের সাঁকোই ভরসা : বাটশালা গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরমে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// এম তাজুল ইসলাম, ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি //

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তল ইউনিয়নের বাটশালা গ্রামের জনসাধরণের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাটশালা গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু গ্রামের সামন দিয়ে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম অল অয়েদার সড়কটি গেলেও বাটশালা গ্রাম থেকে সড়কে উঠার জন্য কোন রাস্তা বা সেতু নির্মাণ না করায় সারা বছরই কোমর পানি ভেঙ্গে অথবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাটশালা গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়ক পর্যন্ত বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে সড়কে উঠতে হয়।

বাটশালা গ্রামের জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়কে উঠার জন্য একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই দরকার। এই রাস্তা বা ব্রিজের জন্য খুব কষ্ট করে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বাঁশের সাঁকোটি এলাকার দশ জনে চাঁদা তুলে তৈরী করেছেন। এটার উপর দিয়ে যে যতবার যাবে ততবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয়।

বাটশালা গ্রামের বাসিন্দা কাস্তল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসলাম উদ্দিন বলেন, গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়কে আসা যাওয়ার জন্য এলাকার পাঁচ জনে মিলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে গ্রাম থেকে সড়কে আসা যাওয়া করার জন্য। গ্রামের মানুষ যতবার যাওয়া আসা করবে ততবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয়। আর এই সাকুর রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নিয়োগকৃত একজন লোক রয়েছে। মাস শেষে যত টাকা আদায় হয় নিয়োগকৃত লোকের বেতন বাবদ খরচ করে যে টাকা অবশিষ্ট থাকে তা বাঁশের সাঁকোর সংস্কার ও মেরামতের কাজে খরচ করা হয়। তবে এলাকার বাহিরের কোন লোক বাটশালা গ্রামে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করতে কোন টাকা দিতে হয় না। আমাদের এই সাঁকো তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে দুই লাখ নব্বই হাজার টাকা খরচ হয়েছে এলাকাবাসীর ।

তিনি আরও বলেন, গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়ক পর্যন্ত একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ খুবই দরকার। বাটশালা গ্রাম থেকে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম অল অয়েদার সড়কে উঠার জন্য একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ করে এ দুর্ভোগ থেকে বাটশালা গ্রামবাসীকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।

বা/খ : এসআর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাঁশের সাঁকোই ভরসা : বাটশালা গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

// এম তাজুল ইসলাম, ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি //

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তল ইউনিয়নের বাটশালা গ্রামের জনসাধরণের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাটশালা গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু গ্রামের সামন দিয়ে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম অল অয়েদার সড়কটি গেলেও বাটশালা গ্রাম থেকে সড়কে উঠার জন্য কোন রাস্তা বা সেতু নির্মাণ না করায় সারা বছরই কোমর পানি ভেঙ্গে অথবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাটশালা গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়ক পর্যন্ত বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে সড়কে উঠতে হয়।

বাটশালা গ্রামের জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়কে উঠার জন্য একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই দরকার। এই রাস্তা বা ব্রিজের জন্য খুব কষ্ট করে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝূঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বাঁশের সাঁকোটি এলাকার দশ জনে চাঁদা তুলে তৈরী করেছেন। এটার উপর দিয়ে যে যতবার যাবে ততবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয়।

বাটশালা গ্রামের বাসিন্দা কাস্তল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসলাম উদ্দিন বলেন, গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়কে আসা যাওয়ার জন্য এলাকার পাঁচ জনে মিলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে গ্রাম থেকে সড়কে আসা যাওয়া করার জন্য। গ্রামের মানুষ যতবার যাওয়া আসা করবে ততবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয়। আর এই সাকুর রক্ষণাবেক্ষনের জন্য নিয়োগকৃত একজন লোক রয়েছে। মাস শেষে যত টাকা আদায় হয় নিয়োগকৃত লোকের বেতন বাবদ খরচ করে যে টাকা অবশিষ্ট থাকে তা বাঁশের সাঁকোর সংস্কার ও মেরামতের কাজে খরচ করা হয়। তবে এলাকার বাহিরের কোন লোক বাটশালা গ্রামে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করতে কোন টাকা দিতে হয় না। আমাদের এই সাঁকো তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে দুই লাখ নব্বই হাজার টাকা খরচ হয়েছে এলাকাবাসীর ।

তিনি আরও বলেন, গ্রাম থেকে অল অয়েদার সড়ক পর্যন্ত একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ খুবই দরকার। বাটশালা গ্রাম থেকে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম অল অয়েদার সড়কে উঠার জন্য একটি রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ করে এ দুর্ভোগ থেকে বাটশালা গ্রামবাসীকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।

বা/খ : এসআর।