ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বশেমুরকৃবিতে কুইনোয়া সবুজ শাকের নানাবিধ ব্যবহার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
উচ্চপুষ্টিগুণ সম্পন্ন কুইনোয়া সবুজ শাকের বহুবিধ ব্যবহার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২৩ এপ্রিল সকাল ১০ টার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ইউনিভার্সিটি অব মিশোরী এর সিনিয়র গবেষক কৃষিবিদ শফিউল্লাহ পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. ইমরুল কায়েসের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কুইনোয়া শাকের উচ্চপুষ্টিগুণ এবং বহুবিধ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় এর গবেষণা ও সম্প্রসারণে বিশ্ববিদ্যালয় সানন্দের সাথে গবেষণায় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ইউনিভার্সিটি অব মিশোরীর সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে গবেষক কৃষিবিদ শফিউল্লাহ পাঠান কুইনোয়া সবুজ শাকের বিভিন্ন অংশ যেমন কচি পাতা, পরিপূর্ণ গাছ, বীজের স্প্রাউট, কান্ড, মাইক্রোগ্রিন ইত্যাদির বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তিনি এর পুষ্টিসমৃদ্ধ সালাদ, সুস্বাদু শাক, পশুখাদ্যসহ এর বহুবিধ ব্যবহার এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। কুইনোয়া শাক মানবস্বাস্থ্যের জন্য যেমন সুপার ফুড তেমনি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিক্যান্সার, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিওবেসিটি এবং হার্টের জন্য উপকারী। কুইনোয়া সবুজ শাক আঠা-মুক্ত এবং প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমকপ্রদ উৎস হিসেবে কাজ করে। কাজেই একদিকে যেমন কুইনোয়া সবুজ শাক একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় মূল্যবান সবজির প্রতিনিধিত্ব করে যা দেশের অপুষ্টি সমস্যা সমাধান করতে পারে তেমনই এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায়ও সমভাবে অবদান রাখতে পারে। সবুজ শাকগুলি সারা বছর ধরে জন্মানো যেতে পারে (ক্ষেতে, উঁচু টানেল এবং গ্রিনহাউসে) যা খুবই স্বল্প-মেয়াদী একটি ফসল।
এছাড়া কুইনোয়া লবণ, খরা এবং ঠান্ডা-সহনশীল এবং বেড়ে উঠতে সামান্য সার ও পানির প্রয়োজন হয়।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিশিষ্ট কৃষিতত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. মোঃ আবিয়ার রহমান। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষকসহ এমএস ও পিএইচডি শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

বশেমুরকৃবিতে কুইনোয়া সবুজ শাকের নানাবিধ ব্যবহার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
উচ্চপুষ্টিগুণ সম্পন্ন কুইনোয়া সবুজ শাকের বহুবিধ ব্যবহার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২৩ এপ্রিল সকাল ১০ টার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ইউনিভার্সিটি অব মিশোরী এর সিনিয়র গবেষক কৃষিবিদ শফিউল্লাহ পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. ইমরুল কায়েসের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কুইনোয়া শাকের উচ্চপুষ্টিগুণ এবং বহুবিধ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় এর গবেষণা ও সম্প্রসারণে বিশ্ববিদ্যালয় সানন্দের সাথে গবেষণায় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন ইউনিভার্সিটি অব মিশোরীর সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে গবেষক কৃষিবিদ শফিউল্লাহ পাঠান কুইনোয়া সবুজ শাকের বিভিন্ন অংশ যেমন কচি পাতা, পরিপূর্ণ গাছ, বীজের স্প্রাউট, কান্ড, মাইক্রোগ্রিন ইত্যাদির বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তিনি এর পুষ্টিসমৃদ্ধ সালাদ, সুস্বাদু শাক, পশুখাদ্যসহ এর বহুবিধ ব্যবহার এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। কুইনোয়া শাক মানবস্বাস্থ্যের জন্য যেমন সুপার ফুড তেমনি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিক্যান্সার, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিওবেসিটি এবং হার্টের জন্য উপকারী। কুইনোয়া সবুজ শাক আঠা-মুক্ত এবং প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমকপ্রদ উৎস হিসেবে কাজ করে। কাজেই একদিকে যেমন কুইনোয়া সবুজ শাক একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় মূল্যবান সবজির প্রতিনিধিত্ব করে যা দেশের অপুষ্টি সমস্যা সমাধান করতে পারে তেমনই এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায়ও সমভাবে অবদান রাখতে পারে। সবুজ শাকগুলি সারা বছর ধরে জন্মানো যেতে পারে (ক্ষেতে, উঁচু টানেল এবং গ্রিনহাউসে) যা খুবই স্বল্প-মেয়াদী একটি ফসল।
এছাড়া কুইনোয়া লবণ, খরা এবং ঠান্ডা-সহনশীল এবং বেড়ে উঠতে সামান্য সার ও পানির প্রয়োজন হয়।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিশিষ্ট কৃষিতত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. মোঃ আবিয়ার রহমান। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষকসহ এমএস ও পিএইচডি শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বাখ//আর