ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রসেস মিলের বর্জ্যে আত্রাই নদী দূষিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// সরকার আরিফ ইখতেখার //

পাবনার বেড়া উপজেলার খাস আমিনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুতা রঙ করার প্রসেস মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে আত্রাই নদী। ফলে বিপাকে পরছে এইনদী ব্যবহার করা প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় শতাধিক প্রসেস মিল। আর এই প্রসেস মিল ও ডায়িংয়ের ক্ষতিকর দূষিত কেমিক্যালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদী অথবা পাশের নালায়। এতে দূষিত হচ্ছে নদী, ধ্বংস হচ্ছে মাছ এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনমান ও পরিবেশ। দূষিত পানির দূর্গন্ধে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে সর্বত্রই। মিল থেকে নির্গত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বর্জ্যে মারাক্তক দূষিত হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী। দূষিত পানির দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে দূষিত করে তুলছে পরিবেশ।

নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে এসে দু-একজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এরপর মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করে চলে যান তারা। পরে যেভাবে তারা নদীতে বর্জ্য ফেলছিল সেভাবেই ফেলতে থাকে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এবং নদী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করলে এ নদী দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাবুল মন্ডল এর ডাইং প্রসেস মিল কারখানায় সুতা রঙ ও প্রসেসের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ট্যাংকে অপসারণ না করে সরাসরি পাইপের মাধ্যমে আত্রাই নদীতে ফেলা হচ্ছে। নদীর পানি ক্রমাগত কালচে হয়ে বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। এতে মারাক্তক ভাবে পরিবেশের দূষণ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমি। বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতীর মাছ। পানিবাহিত নানা রোগ পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, এলার্জি, চুলকানিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা।

বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। এলাকাবাসী ওই পানি দূষণের রাহুগ্রাস থেকে জীববৈচিত্রের সুরক্ষায় ও আত্রাই নদীকে ভয়াবহ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ডাইং ম্যানেজার মনিন বলেন, মিলের কাজ চলছে তাই নদীতে সরাসরি পানি ফেলা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে দুই চার সপ্তাহ পর আর ফেলা হবে না।

মিল মালিক এবি এম কামরুল ইসলাম (কাবুল মন্ডল) এর সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে এ বিষয় তিনি কোনো মন্তব্য করেনি।

এ বিষয় বেড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহা সবুর আলী দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রসেস মিলের বর্জ্যে আত্রাই নদী দূষিত

আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

// সরকার আরিফ ইখতেখার //

পাবনার বেড়া উপজেলার খাস আমিনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুতা রঙ করার প্রসেস মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে আত্রাই নদী। ফলে বিপাকে পরছে এইনদী ব্যবহার করা প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় শতাধিক প্রসেস মিল। আর এই প্রসেস মিল ও ডায়িংয়ের ক্ষতিকর দূষিত কেমিক্যালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদী অথবা পাশের নালায়। এতে দূষিত হচ্ছে নদী, ধ্বংস হচ্ছে মাছ এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনমান ও পরিবেশ। দূষিত পানির দূর্গন্ধে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে সর্বত্রই। মিল থেকে নির্গত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বর্জ্যে মারাক্তক দূষিত হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী। দূষিত পানির দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে দূষিত করে তুলছে পরিবেশ।

নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে এসে দু-একজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এরপর মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করে চলে যান তারা। পরে যেভাবে তারা নদীতে বর্জ্য ফেলছিল সেভাবেই ফেলতে থাকে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এবং নদী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করলে এ নদী দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাবুল মন্ডল এর ডাইং প্রসেস মিল কারখানায় সুতা রঙ ও প্রসেসের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ট্যাংকে অপসারণ না করে সরাসরি পাইপের মাধ্যমে আত্রাই নদীতে ফেলা হচ্ছে। নদীর পানি ক্রমাগত কালচে হয়ে বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। এতে মারাক্তক ভাবে পরিবেশের দূষণ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমি। বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতীর মাছ। পানিবাহিত নানা রোগ পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, এলার্জি, চুলকানিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা।

বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। এলাকাবাসী ওই পানি দূষণের রাহুগ্রাস থেকে জীববৈচিত্রের সুরক্ষায় ও আত্রাই নদীকে ভয়াবহ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ডাইং ম্যানেজার মনিন বলেন, মিলের কাজ চলছে তাই নদীতে সরাসরি পানি ফেলা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে দুই চার সপ্তাহ পর আর ফেলা হবে না।

মিল মালিক এবি এম কামরুল ইসলাম (কাবুল মন্ডল) এর সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে এ বিষয় তিনি কোনো মন্তব্য করেনি।

এ বিষয় বেড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহা সবুর আলী দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।