ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

এদিন রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব। আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানিকালে রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় তার পক্ষে শুনানি করতে পারেননি আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ সময় রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব এসব তথ্য জানান।

এর আগে, গত বছরের ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। গত বছর ১৯ অক্টোবর শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

এদিন রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব। আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানিকালে রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় তার পক্ষে শুনানি করতে পারেননি আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ সময় রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব এসব তথ্য জানান।

এর আগে, গত বছরের ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। গত বছর ১৯ অক্টোবর শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।