ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উদ্ধার করলেন এ্যসিল্যান্ড

পোতাজিয়া ইউপি’র ভিজিএফের চাল আবারও কালোবাজারে বিক্রি

রাজেশ দত্ত, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাদপুর উপজেলার ৩নং পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ ১০ কেজি চাউল গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করেই আবারও কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ৩ মার্চ বুধবার পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি ভিজিএফ চাল দেয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পোতাজিয়া দিঘিরপাড়া মহল্লার আব্দুল প্রামাণিকের ছেলে রাশিদুল (৩৮) এর ভাড়া বাড়ি থেকে ২ বস্তাভর্তি প্রায় ৮০ কেজি চাল উদ্ধার করেন নবনিযুক্ত শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদ। রাশেদুল স্থানীয় আক্তারের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো বলে জানা গেছে। পরে রাশিদুলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে উদ্ধারকৃত ওই চাল পোতাজিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন এ্যসিল্যান্ড।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চিহ্নিত কালোবাজারী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ থেকে ভিজিএফ এর কার্ড কিনে চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে। বিষয়টি সকলেরই জানা থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। গত বছরের ২০ জুন পোতাজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর জাহান বাচ্চু বিরুদ্ধে ১২ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ওঠে । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই সময়ের পিআইও রাশেদুল ইসলাম কালোবাজারে বিক্রি করা সেই ১২ বস্তা চালও উদ্ধার করেন।

গত বছরে পোতাজিয়া ইউপির ২১৬৮ জন কার্ডধারী থাকলেও মাস্টাররোল তৈরি করা হয় অন্য লোকের টিপসই নিয়ে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের ১১২৯নং কার্ডধারী জুলু মোল্লার ছেলে হানেফ, একই গ্রামের জয়নুল আবেদিনের ছেলে আব্বাস মোল্লা, মাহমুদ আলীর ছেলে আশরাফ মোল্লা, আরশাদ আলীর স্ত্রী জাহানারা খাতুন, হাফিজ মোল্লার ছেলে নিজাম উদ্দিন, ছামাদের ছেলে ইয়াছিন এবং রহিম মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লার তাদের সঙ্গে কথা বললে উঠে আসে জালিয়াতির ভয়াবহ চিত্র। তালিকায় প্রত্যেকের নাম এবং চাল উত্তোলনের টিপসই আছে মাস্টাররোলে। অথচ কেউই জানে না কিভাবে তাদের নাম তালিকায় ঢুকল। জীবনে ১ কেজি চালও পায়নি পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে। অথচ তাদের নামে বছরের পর বছর চাল উত্তোলন হয়ে আসছে। গরীবের হক যারা মেরে খাচ্ছেন তাদের শাস্তিও দাবী করেন তারা।

এ বিষয়ে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর জাহান বাচ্চু বলেন, ‘কে কালোবাজারে চাল বিক্রি করেছে তা আমি জানিনা। শুনেছি এ্যাসিল্যান্ড সাহেব ৫০ কেজি চাল উদ্ধার করেছেন।’

এ বিষয়ে নবনিযুক্ত শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদ বাংলা খবর বিডিকে জানান, ‘১০/১২ জনের কার্ড যিনি সংগ্রহ করেছেন তিনি গরীব হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। চাল পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

উদ্ধার করলেন এ্যসিল্যান্ড

পোতাজিয়া ইউপি’র ভিজিএফের চাল আবারও কালোবাজারে বিক্রি

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

শাহজাদপুর উপজেলার ৩নং পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ ১০ কেজি চাউল গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করেই আবারও কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ৩ মার্চ বুধবার পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি ভিজিএফ চাল দেয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পোতাজিয়া দিঘিরপাড়া মহল্লার আব্দুল প্রামাণিকের ছেলে রাশিদুল (৩৮) এর ভাড়া বাড়ি থেকে ২ বস্তাভর্তি প্রায় ৮০ কেজি চাল উদ্ধার করেন নবনিযুক্ত শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদ। রাশেদুল স্থানীয় আক্তারের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো বলে জানা গেছে। পরে রাশিদুলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে উদ্ধারকৃত ওই চাল পোতাজিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন এ্যসিল্যান্ড।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চিহ্নিত কালোবাজারী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ থেকে ভিজিএফ এর কার্ড কিনে চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে। বিষয়টি সকলেরই জানা থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। গত বছরের ২০ জুন পোতাজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর জাহান বাচ্চু বিরুদ্ধে ১২ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ওঠে । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই সময়ের পিআইও রাশেদুল ইসলাম কালোবাজারে বিক্রি করা সেই ১২ বস্তা চালও উদ্ধার করেন।

গত বছরে পোতাজিয়া ইউপির ২১৬৮ জন কার্ডধারী থাকলেও মাস্টাররোল তৈরি করা হয় অন্য লোকের টিপসই নিয়ে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের ১১২৯নং কার্ডধারী জুলু মোল্লার ছেলে হানেফ, একই গ্রামের জয়নুল আবেদিনের ছেলে আব্বাস মোল্লা, মাহমুদ আলীর ছেলে আশরাফ মোল্লা, আরশাদ আলীর স্ত্রী জাহানারা খাতুন, হাফিজ মোল্লার ছেলে নিজাম উদ্দিন, ছামাদের ছেলে ইয়াছিন এবং রহিম মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লার তাদের সঙ্গে কথা বললে উঠে আসে জালিয়াতির ভয়াবহ চিত্র। তালিকায় প্রত্যেকের নাম এবং চাল উত্তোলনের টিপসই আছে মাস্টাররোলে। অথচ কেউই জানে না কিভাবে তাদের নাম তালিকায় ঢুকল। জীবনে ১ কেজি চালও পায়নি পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে। অথচ তাদের নামে বছরের পর বছর চাল উত্তোলন হয়ে আসছে। গরীবের হক যারা মেরে খাচ্ছেন তাদের শাস্তিও দাবী করেন তারা।

এ বিষয়ে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর জাহান বাচ্চু বলেন, ‘কে কালোবাজারে চাল বিক্রি করেছে তা আমি জানিনা। শুনেছি এ্যাসিল্যান্ড সাহেব ৫০ কেজি চাল উদ্ধার করেছেন।’

এ বিষয়ে নবনিযুক্ত শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে ওয়াহিদ বাংলা খবর বিডিকে জানান, ‘১০/১২ জনের কার্ড যিনি সংগ্রহ করেছেন তিনি গরীব হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। চাল পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়া হয়েছে।’