ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পায়রা বন্দরের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করলেন বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পায়রা বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক পায়রা বন্দরের দায়িত্ব গ্রহনের পরে প্রথমবারের মত বন্দরের চলমান ফার্স্ট টার্মিনাল প্রকল্প, ক্যাপিটাল ও মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্প,পায়রাবন্দরের চ্যানেল,পায়রা বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট এলাকা, জাহাজ সহ মুরিং বয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।

গতকাল সকাল থেকে দিনভর তিনি প্রকল্প এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন, এ সময় তার সাথে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন ) রাজিব ত্রিপুরা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (হারবার মাস্টার) ক্যাপ্টেন এস এম সরিফুর রহমান, পায়রা বন্দর কর্তপক্ষের (চীফ হাইড্রোগ্রাফার) মাহামুদুল হাসান সহ বন্দরের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

বন্দরের দায়িত্ব গ্রহনের পরে প্রথমবারের মত বন্দরের বিভিন্ন চলমান গুরুত্বপূর্ন কাজগুলি পরিদর্শন কালে পায়রাবন্দরের কাজকে বেগবান করতে চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

গত ১২ এপ্রিল রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেককে চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান থেকে পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে। পরবর্তীতে গত ২৭ এপ্রিল রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।

উল্লেখ্য, প্রথমবারে শুরুর ১০ বছরের মধ্যেই পটুয়াখালীর পায়রাবন্দর এখন সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের গভীরতা নিয়ে দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দরে রূপ নিয়েছে। ২০১৩ সালে পায়রা বন্দর অর্ডিন্যান্স অনুমোদনের পরে ২০১৬ সালে ৭-৮ মিটার গভীরতায় বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে পন্য খালাসের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষে বন্দরের গভীরতা সাড়ে ১০ মিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় পায়রা বন্দর বর্তমানে দেশের গভীরতম বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এং ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যানামেক্স্র আকৃতির বড় জাহাজ ৪০হাজার থেকে ৫০ হাজার মে.টন /তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার কনটেইনার পন্য নিয়ে সরাসরি বন্দরে ভিড়তে পারছে।

এদিকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ্য বন্দরের গভীরতা সাড়ে ১০ মিটার ঘোষণার পর-পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ মিটারের উপরের জাহাজ আসতে শুরু করেছে। ২৬ মার্চ ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০.২ মিটার ড্রাফটের ‘অরনা হুলিয়া’ নামের মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বালিকপপন বন্দর থেকে ১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩৩ মিটার প্রস্থের ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পন্য সহ বন্দরের ইনার অ্যাংকরে নোঙর করে পায়রাতাপ বিদুৎ এর কয়লা নিয়ে।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

পায়রা বন্দরের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করলেন বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ১২:১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পায়রা বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক পায়রা বন্দরের দায়িত্ব গ্রহনের পরে প্রথমবারের মত বন্দরের চলমান ফার্স্ট টার্মিনাল প্রকল্প, ক্যাপিটাল ও মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্প,পায়রাবন্দরের চ্যানেল,পায়রা বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট এলাকা, জাহাজ সহ মুরিং বয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।

গতকাল সকাল থেকে দিনভর তিনি প্রকল্প এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন, এ সময় তার সাথে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন ) রাজিব ত্রিপুরা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (হারবার মাস্টার) ক্যাপ্টেন এস এম সরিফুর রহমান, পায়রা বন্দর কর্তপক্ষের (চীফ হাইড্রোগ্রাফার) মাহামুদুল হাসান সহ বন্দরের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

বন্দরের দায়িত্ব গ্রহনের পরে প্রথমবারের মত বন্দরের বিভিন্ন চলমান গুরুত্বপূর্ন কাজগুলি পরিদর্শন কালে পায়রাবন্দরের কাজকে বেগবান করতে চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

গত ১২ এপ্রিল রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেককে চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান থেকে পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে। পরবর্তীতে গত ২৭ এপ্রিল রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।

উল্লেখ্য, প্রথমবারে শুরুর ১০ বছরের মধ্যেই পটুয়াখালীর পায়রাবন্দর এখন সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের গভীরতা নিয়ে দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দরে রূপ নিয়েছে। ২০১৩ সালে পায়রা বন্দর অর্ডিন্যান্স অনুমোদনের পরে ২০১৬ সালে ৭-৮ মিটার গভীরতায় বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে পন্য খালাসের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষে বন্দরের গভীরতা সাড়ে ১০ মিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় পায়রা বন্দর বর্তমানে দেশের গভীরতম বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এং ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যানামেক্স্র আকৃতির বড় জাহাজ ৪০হাজার থেকে ৫০ হাজার মে.টন /তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার কনটেইনার পন্য নিয়ে সরাসরি বন্দরে ভিড়তে পারছে।

এদিকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ্য বন্দরের গভীরতা সাড়ে ১০ মিটার ঘোষণার পর-পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ মিটারের উপরের জাহাজ আসতে শুরু করেছে। ২৬ মার্চ ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০.২ মিটার ড্রাফটের ‘অরনা হুলিয়া’ নামের মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বালিকপপন বন্দর থেকে ১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩৩ মিটার প্রস্থের ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পন্য সহ বন্দরের ইনার অ্যাংকরে নোঙর করে পায়রাতাপ বিদুৎ এর কয়লা নিয়ে।

 

বা/খ: জই