ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাবনার চাষিরা আমনের দামে খুশি নন, বর্গাচাষিরা লোকসানে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি :

পাবনা জেলায় আমন ধান কাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষক ধান কাটা শুরু করলেও দাম নিয়ে তারা নিরাশ হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন, এবার সার সঙ্কট ও বর্ষা মওসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হচ্ছে। এর ওপর উৎপাদন খরচ অনুযায়ী তারা দাম পাচ্ছেন না। তারা বলছেন, ধান কত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এটা হিসাব করার আগে উৎপাদন খরচ হিসাব করা দরকার। এতে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষক পাচ্ছে কি না তার বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে বলে তারা জানিয়েছেন।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলায় মোট ৫৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

তবে চাষিরা জানিয়েছেন, চলতি মওসুমে সার সঙ্কট ও বর্ষা মওসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হচ্ছে। ধানে অনেক চিটাও রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে পুরোদমে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। নতুন আমন ধান প্রতি মণ এক হাজার ৩০০ এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিকন ও সুগন্ধি জাতের ধানের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। তবে এ দামে ধান বিক্রি করে চাষিদের আশানুরুপ লাভ হচ্ছে না। তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুন হওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়েছে। সারের দাম, শ্রমিকের দাম, কীটনাশকের দাম বেড়েছে। এমনকি মাড়াইযন্ত্র ডিজেলচালিত হওয়ায় ধান মাড়াইয়ের খরচ বেড়েছে। এতে করে চাষির খরচ যে হারে বেড়েছে সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি। এজন্য তারা খুব কমই লাভের মুখ দেখছেন।

চাষিরা জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এবার বাজারে ধানের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুনের কাছাকাছি। আর জমি লিজ নেয়া চাষিদের খরচ আরো বেশি। তাদের প্রতিবছর বিঘায় ১৫ হাজার টাকা জমি মালিককে দিতে হয়।

কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, প্রতি বিঘায় গড়ে ধানের ফলন হয়েছে ১৫ মণ। এরমধ্যে খরচ যায় বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিমণ ধানের দাম এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা ধরে এক বিঘা জমি থেকে জমি মালিক নিজে চাষ করলে বিঘা প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ থাকে। কিন্তু যারা জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন তাদের জমির মালিককে যে টাকা দিতে হয় তা বাদ দিলে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার হাট-বাজারগুলোতে এখন যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে এতে তারা খুশি নন। কারণ উৎপাদন খরচ বাদে তাদের লাভ থাকে না। অনেক কৃষক বানিজ্যিকভাবে ধান চাষ করা বাদ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নিজের সংসারের জন্য যে পরিমান ধান লাগে সেটুকু জমি আবাদ করবেন। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, যত বেশি আবাদ করা হচ্ছে তত বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এতে আগামীতে পাবনা জেলায় ধানের আবাদ ও উৎপাদন কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বেড়া উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ধানচাষি বাচ্চু মোল্লা বলেন, এবার ধান আবাদে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কারণ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জমি চাষের খরচ বেড়েছে। সার-কীটনাশকের দাম, শ্রমিকে মজুরি বেশি। এমনকি ধান মাড়াই মেশিনের মজুরি বেড়েছে। এছাড়া এবার তারা ঠিকমতো সার পাননি। এতে ফলন কম হয়েছে। বর্গাচাষি আফজাল বলেন, তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান হয়েছে। তাই সেই জমি ছেড়ে দিয়েছেন।

সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের চাষি আফছার জানান, ধান আবাদ করে লাভ খুব কমে গেছে। সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি। ধান মাড়াই যন্ত্রের মালিক সাইদুল জানান, গতবছর তারা প্রতি মণ ধান মাড়াই করে আড়াই কেজি ধান নিয়েছেন। এবার নিচ্ছেন প্রতি মণে ৪ কেজি। এতেও তাদের পোষায় না। কারণ জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিক ছালাম বলেন, তারা অন্য গ্রাম থেকে ধান কাটতে মনমথপুর এসেছেন। তারা পাঁচজন প্রতিদিন ৭৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন।

গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেড়া সিঅ্যান্ডবি চতুর হাটে গিয়ে জানা যায়, আমন ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা আর চিকন মানের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা দরে। চাষিরা জানান, গত বছর এ সময়ে মোটা ধানের দর ছিল এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার এক হাজার ১৫০ টাকা মণ। মোটামুটি চিকন জাতের ধান ছিল প্রতি মণ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু এক বছরে চাষাবাদে যে খরচ বেড়েছে সে অনুপাতে দাম বাড়েনি। তারা বলছেন, অনেকের ধারণা ধানের দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু তারা হিসাব করছে না, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ কত বেড়েছে। জমি লিজ নেয়া চাষি আব্দুল করিম জানান, জমির মালিককে বছরে লিজ বাবদ দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। এক হাজার ৩০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করলেন। এ দামে তাদের পোষায় না, লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার আমনের ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে। বর্ষা মওসুম বলে সেচ কম লেগেছে। আর চাষিরা যেটাকে সার কম দেয়া বলেছেন আসলে সার পরিমিত পরিমান তারা দিয়েছেন। এতে অপচয় কম হয়ে তাদের খরচ সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বা/খ: এসআর

নিউজটি শেয়ার করুন

পাবনার চাষিরা আমনের দামে খুশি নন, বর্গাচাষিরা লোকসানে

আপডেট সময় : ১১:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি :

পাবনা জেলায় আমন ধান কাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষক ধান কাটা শুরু করলেও দাম নিয়ে তারা নিরাশ হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন, এবার সার সঙ্কট ও বর্ষা মওসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হচ্ছে। এর ওপর উৎপাদন খরচ অনুযায়ী তারা দাম পাচ্ছেন না। তারা বলছেন, ধান কত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এটা হিসাব করার আগে উৎপাদন খরচ হিসাব করা দরকার। এতে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষক পাচ্ছে কি না তার বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে বলে তারা জানিয়েছেন।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলায় মোট ৫৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

তবে চাষিরা জানিয়েছেন, চলতি মওসুমে সার সঙ্কট ও বর্ষা মওসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হচ্ছে। ধানে অনেক চিটাও রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে পুরোদমে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। নতুন আমন ধান প্রতি মণ এক হাজার ৩০০ এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিকন ও সুগন্ধি জাতের ধানের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। তবে এ দামে ধান বিক্রি করে চাষিদের আশানুরুপ লাভ হচ্ছে না। তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুন হওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়েছে। সারের দাম, শ্রমিকের দাম, কীটনাশকের দাম বেড়েছে। এমনকি মাড়াইযন্ত্র ডিজেলচালিত হওয়ায় ধান মাড়াইয়ের খরচ বেড়েছে। এতে করে চাষির খরচ যে হারে বেড়েছে সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি। এজন্য তারা খুব কমই লাভের মুখ দেখছেন।

চাষিরা জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এবার বাজারে ধানের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুনের কাছাকাছি। আর জমি লিজ নেয়া চাষিদের খরচ আরো বেশি। তাদের প্রতিবছর বিঘায় ১৫ হাজার টাকা জমি মালিককে দিতে হয়।

কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, প্রতি বিঘায় গড়ে ধানের ফলন হয়েছে ১৫ মণ। এরমধ্যে খরচ যায় বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিমণ ধানের দাম এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা ধরে এক বিঘা জমি থেকে জমি মালিক নিজে চাষ করলে বিঘা প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ থাকে। কিন্তু যারা জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন তাদের জমির মালিককে যে টাকা দিতে হয় তা বাদ দিলে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার হাট-বাজারগুলোতে এখন যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে এতে তারা খুশি নন। কারণ উৎপাদন খরচ বাদে তাদের লাভ থাকে না। অনেক কৃষক বানিজ্যিকভাবে ধান চাষ করা বাদ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নিজের সংসারের জন্য যে পরিমান ধান লাগে সেটুকু জমি আবাদ করবেন। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, যত বেশি আবাদ করা হচ্ছে তত বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এতে আগামীতে পাবনা জেলায় ধানের আবাদ ও উৎপাদন কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বেড়া উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ধানচাষি বাচ্চু মোল্লা বলেন, এবার ধান আবাদে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কারণ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জমি চাষের খরচ বেড়েছে। সার-কীটনাশকের দাম, শ্রমিকে মজুরি বেশি। এমনকি ধান মাড়াই মেশিনের মজুরি বেড়েছে। এছাড়া এবার তারা ঠিকমতো সার পাননি। এতে ফলন কম হয়েছে। বর্গাচাষি আফজাল বলেন, তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান হয়েছে। তাই সেই জমি ছেড়ে দিয়েছেন।

সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের চাষি আফছার জানান, ধান আবাদ করে লাভ খুব কমে গেছে। সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি। ধান মাড়াই যন্ত্রের মালিক সাইদুল জানান, গতবছর তারা প্রতি মণ ধান মাড়াই করে আড়াই কেজি ধান নিয়েছেন। এবার নিচ্ছেন প্রতি মণে ৪ কেজি। এতেও তাদের পোষায় না। কারণ জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিক ছালাম বলেন, তারা অন্য গ্রাম থেকে ধান কাটতে মনমথপুর এসেছেন। তারা পাঁচজন প্রতিদিন ৭৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন।

গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেড়া সিঅ্যান্ডবি চতুর হাটে গিয়ে জানা যায়, আমন ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা আর চিকন মানের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা দরে। চাষিরা জানান, গত বছর এ সময়ে মোটা ধানের দর ছিল এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার এক হাজার ১৫০ টাকা মণ। মোটামুটি চিকন জাতের ধান ছিল প্রতি মণ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু এক বছরে চাষাবাদে যে খরচ বেড়েছে সে অনুপাতে দাম বাড়েনি। তারা বলছেন, অনেকের ধারণা ধানের দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু তারা হিসাব করছে না, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ কত বেড়েছে। জমি লিজ নেয়া চাষি আব্দুল করিম জানান, জমির মালিককে বছরে লিজ বাবদ দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। এক হাজার ৩০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করলেন। এ দামে তাদের পোষায় না, লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার আমনের ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে। বর্ষা মওসুম বলে সেচ কম লেগেছে। আর চাষিরা যেটাকে সার কম দেয়া বলেছেন আসলে সার পরিমিত পরিমান তারা দিয়েছেন। এতে অপচয় কম হয়ে তাদের খরচ সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বা/খ: এসআর