ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাবনায় স্কুল দপ্তরি মুন্টুর নগ্ন নির্যাতনে মেধাবী ছাত্র নয়ন গুরুত্ব আহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// এ.এইচ.মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি //

পাবনা আটঘরিয়ার সারুটিয়া বিএ.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মুন্টুর নগ্ন নির্যাতনে মেধাবী ছাত্র আশরাফুল ইসলাম নয়ন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
ঘটনার কারণ হিসেবে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কিছু দিন আগে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে কয়েকজন ছাত্র একটি ভিডিও বানিয়ে সেটি টিকটকে প্রকাশ করে। এ ভিডিও প্রকাশ করায় একজন ছাত্রী অভিযোগ দিলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক , মেনেজিং কমিটির সভাপতি ভিডিওটি যারা ধারণ করেছিলো তাদের স্কুলে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় নয়ন কেও ডাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নয়ন শিক্ষকের কথা মতো স্কুলে গিয়ে বলে উক্ত টিকটক করার সাথে আমি জড়িত নই এবং এসব কিছু আমি জানিনা। নয়ন ঘটনাটি বোঝার আগেই অত্র স্কুলের দপ্তরি মুন্টু একটি রুমে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় নয়নকে স্কুলের রুমে আটকে রেখে দপ্তরি মোঃ মুন্টু প্রধান শিক্ষক , মেনেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সামনেই লোহার তার দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে ও পিটায়।
এ ঘটনায় নয়ন দপ্তরির আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় মেনেজিং কমিটির এক সদস্য ইদ্রিস আলী নয়নের বন্ধুকে খবর দেয়। নয়নের বন্ধু নয়নের মা ও চাচাদের নিয়ে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় দপ্তরির অমানবিক নির্যাতনে নয়ন ১২ ঘন্টা হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকে। পরবর্তীতে নয়ন সুস্থ হলে বাড়ির লোকজন ঘটনা সম্পূর্ণ শুনে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়। এরই আগে প্রধান শিক্ষক থানায় সুকৌশলে একটি অভিযোগ দেয় যার কোন লিখিত প্রমাণ নাই। নয়নের পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ উল্টো অভিযোগ না নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে নয়নের অভিভাবক আরিফুল ইসলামকে বের করে দেয় বলে সাংবাদিকদের জানায় তিনি। পরবর্তীতে অভিযোগটি পাবনা আটঘরিয়া ইউএনও কাছে দেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনাটির কারণ সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানার চেষ্টা করলে , তিনি বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। সারুটিয়া গ্রামের অভিভাবকরা স্কুল মেনেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় তুলেছে। শিক্ষক বেত দিয়ে আঘাত করতে পারতো একটা কিন্তু দপ্তরী কিভাবে একজন মেধাবী ছাত্রকে চল্লিশটি লোহার রডের বারি মারে এটা আমাদের জানা ছিলোনা। তবে আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাবনায় স্কুল দপ্তরি মুন্টুর নগ্ন নির্যাতনে মেধাবী ছাত্র নয়ন গুরুত্ব আহত

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

// এ.এইচ.মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি //

পাবনা আটঘরিয়ার সারুটিয়া বিএ.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মুন্টুর নগ্ন নির্যাতনে মেধাবী ছাত্র আশরাফুল ইসলাম নয়ন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
ঘটনার কারণ হিসেবে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কিছু দিন আগে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে কয়েকজন ছাত্র একটি ভিডিও বানিয়ে সেটি টিকটকে প্রকাশ করে। এ ভিডিও প্রকাশ করায় একজন ছাত্রী অভিযোগ দিলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক , মেনেজিং কমিটির সভাপতি ভিডিওটি যারা ধারণ করেছিলো তাদের স্কুলে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় নয়ন কেও ডাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নয়ন শিক্ষকের কথা মতো স্কুলে গিয়ে বলে উক্ত টিকটক করার সাথে আমি জড়িত নই এবং এসব কিছু আমি জানিনা। নয়ন ঘটনাটি বোঝার আগেই অত্র স্কুলের দপ্তরি মুন্টু একটি রুমে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় নয়নকে স্কুলের রুমে আটকে রেখে দপ্তরি মোঃ মুন্টু প্রধান শিক্ষক , মেনেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সামনেই লোহার তার দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে ও পিটায়।
এ ঘটনায় নয়ন দপ্তরির আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় মেনেজিং কমিটির এক সদস্য ইদ্রিস আলী নয়নের বন্ধুকে খবর দেয়। নয়নের বন্ধু নয়নের মা ও চাচাদের নিয়ে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় দপ্তরির অমানবিক নির্যাতনে নয়ন ১২ ঘন্টা হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকে। পরবর্তীতে নয়ন সুস্থ হলে বাড়ির লোকজন ঘটনা সম্পূর্ণ শুনে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়। এরই আগে প্রধান শিক্ষক থানায় সুকৌশলে একটি অভিযোগ দেয় যার কোন লিখিত প্রমাণ নাই। নয়নের পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ উল্টো অভিযোগ না নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে নয়নের অভিভাবক আরিফুল ইসলামকে বের করে দেয় বলে সাংবাদিকদের জানায় তিনি। পরবর্তীতে অভিযোগটি পাবনা আটঘরিয়া ইউএনও কাছে দেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনাটির কারণ সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানার চেষ্টা করলে , তিনি বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। সারুটিয়া গ্রামের অভিভাবকরা স্কুল মেনেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় তুলেছে। শিক্ষক বেত দিয়ে আঘাত করতে পারতো একটা কিন্তু দপ্তরী কিভাবে একজন মেধাবী ছাত্রকে চল্লিশটি লোহার রডের বারি মারে এটা আমাদের জানা ছিলোনা। তবে আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

বা/খ: এসআর।