ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: পায়রা বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট //
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলের আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন না হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে গরমের তীব্রতা। তবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ আজ শুক্রবার ভোররাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তাই শুক্রবার পটুয়াখালীর পায়রা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে গভীর সাগরে বিচরন না করে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কুয়াকাটায় বসবাসকারী ৭০ বছর বয়সী ব্যাবসায়ী মেনাজ তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলেই ভয় পাই। কারণ এই জীবনে সিডরসহ অনেক বন্যা দেখেছি।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আমার ইউনিয়ন। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসলে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লালুয়া ইউপির ১২টি গ্রাম তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় মানুষগুলো রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি।
মহিপুর মৎস্য ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতি এবং কলাপাড়া বন্দর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম জানান ব্যাবসায়ীদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে থাকা অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার সমূহ  মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর শিববাড়িয়া নদীর পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি(সিপিপি) এর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মাঠ মহড়াসহ দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভার মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার ১শ’ ৭৭টি সাইক্লোন শেল্টার এবং মুজিব কিল্লাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: পায়রা বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট //
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলের আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন না হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে গরমের তীব্রতা। তবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ আজ শুক্রবার ভোররাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তাই শুক্রবার পটুয়াখালীর পায়রা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে গভীর সাগরে বিচরন না করে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কুয়াকাটায় বসবাসকারী ৭০ বছর বয়সী ব্যাবসায়ী মেনাজ তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলেই ভয় পাই। কারণ এই জীবনে সিডরসহ অনেক বন্যা দেখেছি।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আমার ইউনিয়ন। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসলে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লালুয়া ইউপির ১২টি গ্রাম তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় মানুষগুলো রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি।
মহিপুর মৎস্য ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতি এবং কলাপাড়া বন্দর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম জানান ব্যাবসায়ীদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে থাকা অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার সমূহ  মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর শিববাড়িয়া নদীর পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি(সিপিপি) এর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মাঠ মহড়াসহ দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভার মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার ১শ’ ৭৭টি সাইক্লোন শেল্টার এবং মুজিব কিল্লাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বা/খ: এসআর।