ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

২০০৯ সালে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করা হয়নি।

নিজস্ব ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার। সৌজন্য সাক্ষাতে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় বোঝা। প্রতিদিন নতুন নতুন শিশু জন্মের মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে।

ইয়ালভা জোহানসন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে সাড়ে চার মিলিয়ন ইউক্রেন রিফিউজি আশ্রয় দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যার জন্য গোটা বিশ্ব দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ অভিভাসন বন্ধে সরকার চেষ্টা করছে। আইওম-এর সহযোগিতায় কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিযে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে কিছু মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমাদের জনশক্তি প্রয়োজন। যদি বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আসে তাহলে উভয়ের জন্য লাভজনক হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ওপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

২০০৯ সালে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করা হয়নি।

নিজস্ব ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার। সৌজন্য সাক্ষাতে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় বোঝা। প্রতিদিন নতুন নতুন শিশু জন্মের মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে।

ইয়ালভা জোহানসন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে সাড়ে চার মিলিয়ন ইউক্রেন রিফিউজি আশ্রয় দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যার জন্য গোটা বিশ্ব দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ অভিভাসন বন্ধে সরকার চেষ্টা করছে। আইওম-এর সহযোগিতায় কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিযে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে কিছু মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমাদের জনশক্তি প্রয়োজন। যদি বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আসে তাহলে উভয়ের জন্য লাভজনক হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ওপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।