ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়লার অভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ কয়লা সরবরাহ পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ধারাবাহিকভাবে এবং পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি না হওয়াসহ আরও কিছু জটিলতার কারণে সময়মত জ্বালানি পায়নি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই কারণে বরগুনার তালতলীর তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদনও বন্ধ। আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় গত ডিসেম্বরে। এরমধ্যে তিনবার উৎপাদন বন্ধ হয়। ১৪ই জানুয়ারি প্রথমবার বন্ধ হয়ে যায় কয়লার অভাবে। একমাস পর চালু হলেও ১৫ই এপ্রিল ফের বন্ধ হয়। কর্তৃপক্ষ জানায় কারিগরী ত্র“টির কারণে সেবার বন্ধ ছিল ৫দিন। সবশেষ গত ২৩শে এপ্রিল থেকে কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ আছে।

রামপালে ৬শ’ ৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি পূর্ণরূপে চালাতে দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লা লাগে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিকটন কয়লা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে আমদানির ধারাবাহিকতা থাকেনি। কার্যাদেশ দেয়া সব কয়লা প্ল্যান্টে এসে পৌঁছায়নি। চলতি সপ্তাহে ৫০ হাজার টন কয়লা আসার কথা। সেটা পেলে আবার সাময়িকভাবে উৎপাদনে যেতে পারে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ডলার সংকট ও ঠিকাদারের পাওনা পরিশোধ না করায় কয়লা আমদানি ব্যহত হচ্ছে বলে রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গেছে।

কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত না করে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনে আসা সরকারের ভুল নীতির প্রকাশ বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র পূর্ণরূপে উৎপাদন চালাতে না পারলে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি যেমন বাড়বে, পাশাপাশি শিল্প খাতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়লার অভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ কয়লা সরবরাহ পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ধারাবাহিকভাবে এবং পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি না হওয়াসহ আরও কিছু জটিলতার কারণে সময়মত জ্বালানি পায়নি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই কারণে বরগুনার তালতলীর তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদনও বন্ধ। আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় গত ডিসেম্বরে। এরমধ্যে তিনবার উৎপাদন বন্ধ হয়। ১৪ই জানুয়ারি প্রথমবার বন্ধ হয়ে যায় কয়লার অভাবে। একমাস পর চালু হলেও ১৫ই এপ্রিল ফের বন্ধ হয়। কর্তৃপক্ষ জানায় কারিগরী ত্র“টির কারণে সেবার বন্ধ ছিল ৫দিন। সবশেষ গত ২৩শে এপ্রিল থেকে কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ আছে।

রামপালে ৬শ’ ৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি পূর্ণরূপে চালাতে দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লা লাগে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিকটন কয়লা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে আমদানির ধারাবাহিকতা থাকেনি। কার্যাদেশ দেয়া সব কয়লা প্ল্যান্টে এসে পৌঁছায়নি। চলতি সপ্তাহে ৫০ হাজার টন কয়লা আসার কথা। সেটা পেলে আবার সাময়িকভাবে উৎপাদনে যেতে পারে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ডলার সংকট ও ঠিকাদারের পাওনা পরিশোধ না করায় কয়লা আমদানি ব্যহত হচ্ছে বলে রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গেছে।

কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত না করে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনে আসা সরকারের ভুল নীতির প্রকাশ বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র পূর্ণরূপে উৎপাদন চালাতে না পারলে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি যেমন বাড়বে, পাশাপাশি শিল্প খাতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ।