দিনাজপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদবাজার
- আপডেট সময় : ১০:৫৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
- / ৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে দিনাজপুরের ঈদ বাজার। দিনের বেলা ক্রেতা কিছুটা কম থাকলেও ইফতারের পর জমে উঠছে বিপণী বিতানগুলো। নানা বয়সী ক্রেতার সমাগমে ভরপুর বিখ্যাত ব্যান্ডের শপিংমলসহ বিপণী বিতানগুলো। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।দিনাজপুরে নান্দনিক সাজে সেজেছে নামিদামি ব্রান্ডের দোকানগুলো। পিছিয়ে নেই ছোটখাটো বিপণী বিতানগুলোও। পুরো শহর যেন পরিণত হয়েছে আধুনিক আলোকসজ্জার মনমোহিনী রূপে। নিজের পছন্দের কাপড় কিনতে ক্রেতারা ঘুরছেন এক দোকান থেকেআরেক দোকানে। কেউ কিনছেন, কেউবা খুঁজছেন পছন্দের জিনিসটি। কসমেটিকসের দোকানগুলোতে লক্ষ্য করে গেছে মা বোনদের অত্যধিকভিড়। পিছিয়ে নেই পুরুষরাও। তবে দাম অনেক বেশি এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
শহরের পাহাড়পুর এলাকা থেকে মোঃ আসলাম আলী এসেছেন বাহাদুরবাজার সংলগ্ন জাবেদ সুপার মার্কেটে, কিনেছেন নিজের জন্য পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের জন্য জুতো, তবে স্ত্রীর জন্য খুঁজছেন বেনারসী শাড়ি কিন্তু পছন্দের মত শাড়ি না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কেনা হয়নি স্ত্রীর জন্য বেনারসী শাড়ি।
জাবেদ সুপার মার্কেটের পাঞ্জাবি বিক্রেতা মোঃ সাকিব বলেন, আমরা ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন নতুন পাঞ্জাবি এনেছি ক্রেতা সাধারনের জন্য। ডিজাইনগুলো বেশ চমৎকার। দামও রয়েছে বেশ নাগালের মধ্যে। দিনের বেলা বেচাবিক্রি একটু কম হলেও ইফতারের পরে বাড়ছে ক্রেতাদের আগমন। সেই সাথে বাড়ছে বেচাবিক্রি। এদিকে, শাড়ি ছাড়া যেন নারীদের ঈদ অনেকটাই ফ্যাকাশে। তাই পছন্দের শাড়ি দিতে কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছি শাড়ির দোকানগুলোতে। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই জানালেন ক্রেতারা। মায়ের সাথে এসছেন ছোট সোনামনিরাও।
শহরের বালুবাড়ি এরাকার ব্যবসায়ীর স্ত্রী শিরিন জামান বলেন, শাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে সব কিনে যাই। এবারের ডিজাইনগুরো চমৎকার।দামেও খুব বেশী নয়। তিনটি শাড়ি কিনেছি। এখন শ্বাশুাড়ী ও ননদের জন্য পছন্দ করছি।
শহরের মালদহ পট্টি এলাকার রাসমণি বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মানিক শাহা বলেন, আমাদের এই দোকানটির মূল স্লোগান আপনার প্রথম পছন্দের আশ্বাস। এমন প্রতিপাদ্যের আলোকেই আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আসন্ন ঈদের জন্য আমরা শাড়ির বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনে দোকান সাজিয়েছি ক্রেতাদের জন্য। বেচাবিক্রি বেশ ভালই। দিনের বেলা বিকিকিনি কম হলেও ইফতারের পর বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। দাম রয়েছে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা খুব সীমিত লাভ করছি। যে কারণে আমার এই প্রতিষ্ঠানটি ওপর ক্রেতাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দিনাজপুর দোকান মালিক সমিতির নেতা মোঃ আজগর আলী বলেন, সব দোকানেই সীমিত পরিমান লাভ রেখে ক্রেতাদের পছন্দের জিনিসটি বিক্রি করছেন তারা। দাম বেশি নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কোন অবস্থাতেই যাতে ক্রেতারা বিভ্রান্তি অথবা অতিরিক্ত দামে তাদের পছন্দের কাপড় কিনতে বিপাকে না পড়ে সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
আসন্ন ঈদ উৎসব নির্বিঘ্নে, আনন্দমূখর পরিবেশে সম্পন্ন হোক এমন আশা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের।