ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীকূল। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্সসহ কিছু কিছু দেশে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিলে রেকর্ড তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশগুলোতে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে গরমকে ঘিরে নানা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ২০ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৪০ ডিগ্রি। ১৫ জায়গায় চলছে তাপপ্রবাহ। আগামী তিন দিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

তাপদাহকে ঘিরে কড়া সতর্কবার্তা জারি করেছে থাইল্যান্ড। তাপমাত্রা সূচক অনুসারে কমপক্ষে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ‘বিপজ্জনক স্তরের তাপ’ দ্বারা প্রভাবিত হবে দেশটি, এমনটাই বলছে থাই আবহাওয়া বিভাগ। অতিরিক্ত গরম নিয়ে নিয়ে ১৫টি প্রদেশে বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, তাপপ্রবাহের তীব্রতার কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি বায়ুদূষণে মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে।

ফিলিপিন্সের অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ‘বিপদ’ স্তরে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থগিত করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শরীরের ক্লাস। স্থানীয়দের বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার দেশটির অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি পৌঁছবে বলে আশংকা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

এছাড়া, চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অবস্থাও নাজেহাল। এপ্রিলের মাঝামাঝি মিয়ানমারের রাজধানীতে নেপিদেওতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এই তাপ একটি দ্বিগুণ আঘাত। যুদ্ধের তীব্রতা সমগ্র শহরের বাসিন্দাদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে অস্থায়ী শিবিরে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য করেছে। অস্থায়ী শিবিরে বাস করা এসব বেসামরিকরা তীব্র তাপে আরও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

আপডেট সময় : ০১:০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীকূল। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্সসহ কিছু কিছু দেশে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিলে রেকর্ড তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশগুলোতে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে গরমকে ঘিরে নানা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ২০ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৪০ ডিগ্রি। ১৫ জায়গায় চলছে তাপপ্রবাহ। আগামী তিন দিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

তাপদাহকে ঘিরে কড়া সতর্কবার্তা জারি করেছে থাইল্যান্ড। তাপমাত্রা সূচক অনুসারে কমপক্ষে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ‘বিপজ্জনক স্তরের তাপ’ দ্বারা প্রভাবিত হবে দেশটি, এমনটাই বলছে থাই আবহাওয়া বিভাগ। অতিরিক্ত গরম নিয়ে নিয়ে ১৫টি প্রদেশে বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, তাপপ্রবাহের তীব্রতার কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি বায়ুদূষণে মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে।

ফিলিপিন্সের অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ‘বিপদ’ স্তরে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থগিত করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শরীরের ক্লাস। স্থানীয়দের বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার দেশটির অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি পৌঁছবে বলে আশংকা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

এছাড়া, চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অবস্থাও নাজেহাল। এপ্রিলের মাঝামাঝি মিয়ানমারের রাজধানীতে নেপিদেওতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এই তাপ একটি দ্বিগুণ আঘাত। যুদ্ধের তীব্রতা সমগ্র শহরের বাসিন্দাদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে অস্থায়ী শিবিরে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য করেছে। অস্থায়ী শিবিরে বাস করা এসব বেসামরিকরা তীব্র তাপে আরও ভোগান্তিতে পড়ছেন।