ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল : কপাল পুড়ছে কৃষকের

আবু হেনা মুক্তি, খুলনা ব্যুরো প্রধান
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। মাঠে পুড়ছে ইরি ধান। টিউবওয়েল পুকুর কোন পানির উৎসে পানি নাই। পানির জন্য চরম হাহাকার চারিদিক। শুধু খুলনা নয় সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। শুধু রিকশাচালক নয় তীব্র গরমে ভোগান্তিতে রয়েছেন ভ্যানচালক থেকে শুরু করে হকার, রাইডারসহ পথচারীরা।
এক সপ্তাহ ধরে খুলনায় বইছে প্রচন্ড দাবদাহ। বাতাসে যেন আগুন জ্বলছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে খুলনার সব এলাকার খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ নলকূপে উঠছে না পানি।
এদিকে, প্রচন্ড গরমে শ্রমজীবীরা ক্ষেতে এক বেলার বেশি কাজ করতে পারছেন না। অনেক কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গোটা জেলার কৃষি। চাষিরা খরার হাত থেকে জমির ফসল রক্ষায় সেচ দিতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় তিন গুণ বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। আর অনিয়ন্ত্রিত পানি উত্তোলনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছরই অস্বাভাবিক হারে নিচে নামছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে দুই দিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দিলেও বৃষ্টি হয়নি। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। গত বছর দীর্ঘতম খরার কবলে পড়ে তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এক বছরের মাথায় আবার খরার কবলে পড়ে তারা মহাসংকটে।
তারা জানান, গভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো জমিতে সেচ দেওয়া গেলেও ঘাস, পাট ও তিলের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানান, তাপপ্রবাহ অনেক সময় কৃষকদের ভালো ফলন এনে দেয়। তবে এ মূহূর্তের তাপমাত্রার তীব্রতা কৃষকদের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এমন আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে চলতি মৌসুমের ধানসহ অন্যান্য ফল-ফসলের সামগ্রিক উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে অন্তত ৩০ শতাংশ।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল : কপাল পুড়ছে কৃষকের

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। মাঠে পুড়ছে ইরি ধান। টিউবওয়েল পুকুর কোন পানির উৎসে পানি নাই। পানির জন্য চরম হাহাকার চারিদিক। শুধু খুলনা নয় সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। শুধু রিকশাচালক নয় তীব্র গরমে ভোগান্তিতে রয়েছেন ভ্যানচালক থেকে শুরু করে হকার, রাইডারসহ পথচারীরা।
এক সপ্তাহ ধরে খুলনায় বইছে প্রচন্ড দাবদাহ। বাতাসে যেন আগুন জ্বলছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে খুলনার সব এলাকার খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ নলকূপে উঠছে না পানি।
এদিকে, প্রচন্ড গরমে শ্রমজীবীরা ক্ষেতে এক বেলার বেশি কাজ করতে পারছেন না। অনেক কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গোটা জেলার কৃষি। চাষিরা খরার হাত থেকে জমির ফসল রক্ষায় সেচ দিতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় তিন গুণ বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। আর অনিয়ন্ত্রিত পানি উত্তোলনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছরই অস্বাভাবিক হারে নিচে নামছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে দুই দিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দিলেও বৃষ্টি হয়নি। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। গত বছর দীর্ঘতম খরার কবলে পড়ে তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এক বছরের মাথায় আবার খরার কবলে পড়ে তারা মহাসংকটে।
তারা জানান, গভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো জমিতে সেচ দেওয়া গেলেও ঘাস, পাট ও তিলের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানান, তাপপ্রবাহ অনেক সময় কৃষকদের ভালো ফলন এনে দেয়। তবে এ মূহূর্তের তাপমাত্রার তীব্রতা কৃষকদের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এমন আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে চলতি মৌসুমের ধানসহ অন্যান্য ফল-ফসলের সামগ্রিক উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে অন্তত ৩০ শতাংশ।
বাখ//আর