ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিতাসে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার জের: থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে

তিতাসে যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল ইসলামের ভাংচুরকৃত বাড়ি।

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকান্ডের জেরে এলাকায় থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট!
হত্যাকাণ্ডের পর মামলার প্রধান আসামি (কারাবন্দী)  সাইফুল ইসলামের ১০ কক্ষ বিশিষ্ট চার দেয়ালের পাকা বাড়িটি  ঘটনার দিনই অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। বিবাদী পক্ষের লোকজন  অভিযোগ করে বলেন  তা করেও ক্ষান্ত হননি বাদী পক্ষের লোকজন।
বিভিন্ন তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে মানিককান্দি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের বাড়িটি গত ৭ জানুয়ারী শনিবার রাতে আবারো  একদল দুর্বৃত্তরা এ বাড়ীটিতে লুটপাট ও ভাংচুর করে দড়জা জানালাসহ সব মালামাল নিয়ে বাড়ীটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ।
এ সময় উপস্থিত আশপাশের বাড়ির  কয়েকজন নারী খুব আগ্রহী হয়ে শাহেনা বেগম (৫৫) মিনরা বেগম (৬০) ও তাহেরা বেগম (৫০) সাংবাদিকদের  বলেন,আবু মোল্লার লোকজনকে মামলা দেওয়ার জন্য শনিবার রাতে বাবুল চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে এসে বিল্ডিংটি ভাংচুর করেছে।
মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান (৬৫)সহ কয়েকজন নাম প্রকাশ  না করার শর্তে বলেন, শনিবার রাতে বিল্ডিং ভাঙ্গার আওয়াজ পেয়েছি, আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হই নাই।
এছাড়াও জহির হত্যা মামলার আসামি মোকারমদের ৫ টি ঘর ও মোহন ভূইয়ার ৩ টি ঘরে ব্যপক ভাংচুর করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল  লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা বলেন, আমর ভাইকে হত্যা করে উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া। কে বা কারা বিল্ডিং ভাংচুর করেছে আমরা জানিনা।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বাংলা খবর বিডি ডটকমকে বলেন, বিল্ডিং ভাঙ্গার বিষয়টি শুনেছি এবং বিল্ডিংয়ের কিছু দরজা জানালার গ্রীলসহ  ৫ জনকে আটক করে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর বিকালে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিতাসে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার জের: থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট 

আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকান্ডের জেরে এলাকায় থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট!
হত্যাকাণ্ডের পর মামলার প্রধান আসামি (কারাবন্দী)  সাইফুল ইসলামের ১০ কক্ষ বিশিষ্ট চার দেয়ালের পাকা বাড়িটি  ঘটনার দিনই অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। বিবাদী পক্ষের লোকজন  অভিযোগ করে বলেন  তা করেও ক্ষান্ত হননি বাদী পক্ষের লোকজন।
বিভিন্ন তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে মানিককান্দি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের বাড়িটি গত ৭ জানুয়ারী শনিবার রাতে আবারো  একদল দুর্বৃত্তরা এ বাড়ীটিতে লুটপাট ও ভাংচুর করে দড়জা জানালাসহ সব মালামাল নিয়ে বাড়ীটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ।
এ সময় উপস্থিত আশপাশের বাড়ির  কয়েকজন নারী খুব আগ্রহী হয়ে শাহেনা বেগম (৫৫) মিনরা বেগম (৬০) ও তাহেরা বেগম (৫০) সাংবাদিকদের  বলেন,আবু মোল্লার লোকজনকে মামলা দেওয়ার জন্য শনিবার রাতে বাবুল চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে এসে বিল্ডিংটি ভাংচুর করেছে।
মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান (৬৫)সহ কয়েকজন নাম প্রকাশ  না করার শর্তে বলেন, শনিবার রাতে বিল্ডিং ভাঙ্গার আওয়াজ পেয়েছি, আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হই নাই।
এছাড়াও জহির হত্যা মামলার আসামি মোকারমদের ৫ টি ঘর ও মোহন ভূইয়ার ৩ টি ঘরে ব্যপক ভাংচুর করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল  লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা বলেন, আমর ভাইকে হত্যা করে উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া। কে বা কারা বিল্ডিং ভাংচুর করেছে আমরা জানিনা।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বাংলা খবর বিডি ডটকমকে বলেন, বিল্ডিং ভাঙ্গার বিষয়টি শুনেছি এবং বিল্ডিংয়ের কিছু দরজা জানালার গ্রীলসহ  ৫ জনকে আটক করে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর বিকালে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।
বা/খ: এসআর।