ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিতাসে অবৈধভাবে জায়গা দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// মোঃ আসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি //
কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলা বলরামপুর ইউনিয়ন পাংঙ্গাশিয়া গ্রামের মরহুম কামাল চেয়ারম্যান এর ছেলে মোঃ আমান উল্লাহ আজ ২০ শে মে শনিবার সকাল ১০টায় মাছিমপুর বাজার সংলগ্ন নিজবাড়ীতে মরহুম কামাল চেয়ারম্যান ও ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকের পরিবারের ওপর ভূমি দস্যুদের জোরপূর্বক অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা এবং ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, বলরামপুর মৌজায় ১৩৯ সিএস ২৫২ নং আরএস এবং ১০৮৫ নং বি এস খতিয়ানভূক্ত হাল ১৪ দাগে ৩১ শতক ভূমি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে কিছু দোকান পাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছি। ২০১৬ সালে ২৮ মে   ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন আমার পিতা মরহুম কামাল উদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা  নির্মমভাবে হত্যা করে যা এখনও আদালতে বিচারাধীন। ২০১৪ সাল থেকে উক্ত ভূমির ওপর একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আমার পিতার মৃত্যুর পর থেকে কিছু ভূমিদস্যু আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মাছিমপুর গ্রামের মিজান সরকারের ছেলে হাবিব সরকার, মোঃ আউয়ালের ছেলে ইকবাল হোসেন বাবুল, আকরম আলীর ছেলে ফারুক, পাংগাশিয়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাঈন উদ্দিন, নাগেরচর গ্রামের মৃত জিএম মোশারফ হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান জুয়েল, কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের ফজলে রাব্বানী শিকদারের ছেলে আজিজুর রহমান, বন্দরামপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে শাহ আলম নামক নামক ব্যাক্তিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে উক্ত নালিশী ভূমি বেআইনিভাবে দখল এবং স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্দেশ্য  বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নসহ  দোকানীদের নানা রকম হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।  আমার পিতা মরহুম কামাল চেয়ারম্যান গং ও মোশাররফ হোসেন গং এর সাথে ২০১৭ সাল থেকে বি এস খতিয়ান সংশোধনের জন্য এলএসটি কোর্টে  মামলা চলমান। প্রতি বছর খাজনা খারিজ গ্রহণ না করার জন্য আমরা মামলার সকল কাগজপত্র তিতাস সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে থাকি। মামলার বিবাদী মোঃ সহিদ সোলায়মান মামলা চলাকালীন অবস্থায় তার দুই পুত্র ও স্ত্রীসহ ৩ জন  ওয়ারিশ রেখে মারা যান। ইদানীংকালে মৃত শহিদ সোলেমান এর ওয়ারিশগণ কোর্টের মামলা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাবিব ও মাইন উদ্দিন গং দের নিকট ৩১ শতকের অর্ধেক অংশ অবৈধভাবেই দলিল সৃজন করে বিক্রি করে দেয়। এর পর ভূমিদস্যু হাবিব, মাইন উদ্দিন, জুয়েলসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদানসহ  দোকান ভাংচুর ও খুন জখমের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তাদের অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত দলিল ও খারিজের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করি। এতে তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকসহ আমাদের ৪ জনের নামে  ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক  মামলা করে এবং উক্ত নালিশী ভূমির দোকানীদের হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবসা করা থেকে বিরত রাখে। হাবিব গংদের কারও কারও নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও এলাকার অনান্য ভূমিও জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা  আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে  সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে ধরেছে, তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।  তারা আমাদের পরিবারের মানসম্মান হানীর চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে হাবিব সরকার বলেন,  আমরা ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক এবং ওনার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। তবে শুনেছি মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া তিতু নাকি ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা জোরপূর্বক ভূমি দখল করিনি। বিএস মালিকের নিকট হতে উক্ত ভূমি ক্রয় করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মূলতঃ আমাদের ক্রয়কৃত ভূমি দখলে বাঁধা দেওয়ার অপকৌশল মাত্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিতাসে অবৈধভাবে জায়গা দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
// মোঃ আসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি //
কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলা বলরামপুর ইউনিয়ন পাংঙ্গাশিয়া গ্রামের মরহুম কামাল চেয়ারম্যান এর ছেলে মোঃ আমান উল্লাহ আজ ২০ শে মে শনিবার সকাল ১০টায় মাছিমপুর বাজার সংলগ্ন নিজবাড়ীতে মরহুম কামাল চেয়ারম্যান ও ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকের পরিবারের ওপর ভূমি দস্যুদের জোরপূর্বক অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা এবং ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, বলরামপুর মৌজায় ১৩৯ সিএস ২৫২ নং আরএস এবং ১০৮৫ নং বি এস খতিয়ানভূক্ত হাল ১৪ দাগে ৩১ শতক ভূমি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে কিছু দোকান পাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছি। ২০১৬ সালে ২৮ মে   ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন আমার পিতা মরহুম কামাল উদ্দিনকে সন্ত্রাসীরা  নির্মমভাবে হত্যা করে যা এখনও আদালতে বিচারাধীন। ২০১৪ সাল থেকে উক্ত ভূমির ওপর একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আমার পিতার মৃত্যুর পর থেকে কিছু ভূমিদস্যু আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মাছিমপুর গ্রামের মিজান সরকারের ছেলে হাবিব সরকার, মোঃ আউয়ালের ছেলে ইকবাল হোসেন বাবুল, আকরম আলীর ছেলে ফারুক, পাংগাশিয়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাঈন উদ্দিন, নাগেরচর গ্রামের মৃত জিএম মোশারফ হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান জুয়েল, কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের ফজলে রাব্বানী শিকদারের ছেলে আজিজুর রহমান, বন্দরামপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে শাহ আলম নামক নামক ব্যাক্তিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে উক্ত নালিশী ভূমি বেআইনিভাবে দখল এবং স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্দেশ্য  বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নসহ  দোকানীদের নানা রকম হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।  আমার পিতা মরহুম কামাল চেয়ারম্যান গং ও মোশাররফ হোসেন গং এর সাথে ২০১৭ সাল থেকে বি এস খতিয়ান সংশোধনের জন্য এলএসটি কোর্টে  মামলা চলমান। প্রতি বছর খাজনা খারিজ গ্রহণ না করার জন্য আমরা মামলার সকল কাগজপত্র তিতাস সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে থাকি। মামলার বিবাদী মোঃ সহিদ সোলায়মান মামলা চলাকালীন অবস্থায় তার দুই পুত্র ও স্ত্রীসহ ৩ জন  ওয়ারিশ রেখে মারা যান। ইদানীংকালে মৃত শহিদ সোলেমান এর ওয়ারিশগণ কোর্টের মামলা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাবিব ও মাইন উদ্দিন গং দের নিকট ৩১ শতকের অর্ধেক অংশ অবৈধভাবেই দলিল সৃজন করে বিক্রি করে দেয়। এর পর ভূমিদস্যু হাবিব, মাইন উদ্দিন, জুয়েলসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদানসহ  দোকান ভাংচুর ও খুন জখমের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তাদের অবৈধভাবে প্রস্তুতকৃত দলিল ও খারিজের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করি। এতে তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকসহ আমাদের ৪ জনের নামে  ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক  মামলা করে এবং উক্ত নালিশী ভূমির দোকানীদের হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবসা করা থেকে বিরত রাখে। হাবিব গংদের কারও কারও নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও এলাকার অনান্য ভূমিও জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা  আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে  সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে ধরেছে, তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।  তারা আমাদের পরিবারের মানসম্মান হানীর চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে হাবিব সরকার বলেন,  আমরা ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক এবং ওনার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। তবে শুনেছি মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া তিতু নাকি ইন্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা জোরপূর্বক ভূমি দখল করিনি। বিএস মালিকের নিকট হতে উক্ত ভূমি ক্রয় করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মূলতঃ আমাদের ক্রয়কৃত ভূমি দখলে বাঁধা দেওয়ার অপকৌশল মাত্র।