ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঝিকরগাছায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার : ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

যশোরের ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জান্নাত আনিশাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক শিক্ষক। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পিতা আব্দুল্লাহ আল মামুন  শিক্ষক নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা পৌর এলাকার কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুনের কন্যা ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া জান্নাত আরা আনিশা ওই ক্লাসের মনিটর। এদিন ইংরেজি ক্লাসের সময় সাপ্তাহিক পরিক্ষার খাতা ক্রয় বাবদ পিছন থেকে অন্য এক শিক্ষার্থী আনিশার কাছে ৫ টাকা দেয়। আনিশা ঘাড় ফিরিয়ে সেই টাকাটা নেয়। পিছনের দিকে ঘাড় ফেরানোর অপরাধে শ্রেণির ইংরেজি শিক্ষক নাজমা বেগম আনিশাকে বেদম প্রহার করে। এ সময় আনিশা ক্লাসরুমে পড়ে যায়। খবর পেয়ে আনিশার পিতা আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আনিশার শরীরের ডান হাতের কনুয়ের উপরে বেশ কয়েকটি এবং হাতের কবব্জির উপরে দাগের রক্তাক্ত জখমের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আনিশার শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে বলে আনিশার পিতা সোমবার সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদকর্মীদেরকে জানিয়েছেন। একই সাথে অমানবিকভাবে তার কন্যাকে শারীরিক নির্যাতন করার উক্ত বিষয়টির তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

তবে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা বেগম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এদিন ক্লাসে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।

বা/খ : এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঝিকরগাছায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার : ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

যশোরের ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জান্নাত আনিশাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক শিক্ষক। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পিতা আব্দুল্লাহ আল মামুন  শিক্ষক নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছা পৌর এলাকার কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুনের কন্যা ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া জান্নাত আরা আনিশা ওই ক্লাসের মনিটর। এদিন ইংরেজি ক্লাসের সময় সাপ্তাহিক পরিক্ষার খাতা ক্রয় বাবদ পিছন থেকে অন্য এক শিক্ষার্থী আনিশার কাছে ৫ টাকা দেয়। আনিশা ঘাড় ফিরিয়ে সেই টাকাটা নেয়। পিছনের দিকে ঘাড় ফেরানোর অপরাধে শ্রেণির ইংরেজি শিক্ষক নাজমা বেগম আনিশাকে বেদম প্রহার করে। এ সময় আনিশা ক্লাসরুমে পড়ে যায়। খবর পেয়ে আনিশার পিতা আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আনিশার শরীরের ডান হাতের কনুয়ের উপরে বেশ কয়েকটি এবং হাতের কবব্জির উপরে দাগের রক্তাক্ত জখমের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আনিশার শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে বলে আনিশার পিতা সোমবার সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদকর্মীদেরকে জানিয়েছেন। একই সাথে অমানবিকভাবে তার কন্যাকে শারীরিক নির্যাতন করার উক্ত বিষয়টির তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

তবে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা বেগম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এদিন ক্লাসে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।

বা/খ : এসআর।