ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছোট যমুনা নদীতে হচ্ছে ধান ও সবজির চাষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগঁ) প্রতিনিধি //

নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদী এখন মরা খালের পরিণত হয়েছে। নদীর বুকে এখন চাষ হচ্ছে ইরি ধান ও সবজি। বিভিন্ন ফসল চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে।

বদলগাছী উপজেলার কোল ঘেঁসে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীতে বর্ষা মৌসুমে ১-২ মাস জোয়ার থাকে। কয়েক বছর ধরে ছোট যমুনা নদী তার আপন সত্বা হারিয়ে আগাম শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে কোথাও কোথাও সাফল্যজনক ভাবে বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির ফলন করছে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকেরা। অথচ এই নদীই ছিল এক সময় এই এলাকার মানুষের নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম নদী। তীব্র গরমে গ্রামের ছোট ছেলেপেলেদের নদীর জলে সাঁতার কাটা দৃশ্য এখন শুধু যেন স্মৃতি হয়ে দাঁড়য়িছে।

বর্তমানে বদলগাছীর এই ছোট যমুনা নদীই যেন নিষ্প্রাণ মরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবে নদীকে নিয়ে যত ছন্দ কবিতা আর গান সব কিছুতেই যেন কলম আজ থমকে দাঁড়িয়েছে।

বদলগাছীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত সেই খরস্রোতা ছোট যমুনা নদী শুধু বর্ষাকালে কয়েকদিনের জন্য ফুটে ওঠে। বাস্তব চিত্র এখন নদীর তলায় চাষাবাদ হচ্ছ।

যমুনা নদীর বর্তমান গতিপথ কূল কিনারা দেখে উপজেলার সচেতন প্রবীণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদরে ধারনা আগামী ১০ বছর পর ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কবির কাব্য কথা কিংবা শিল্পীর গানের কথার মতই হয়ত বা মনে করবে এই খানে এক নদী ছিলো।

বদলগাছীর কাদিবাড়ী ঘাটে প্রবীণ সাধু মাঝি বলেন, নদীর গতি পথ নদীর প্রাণ।  সেই গতি পথ যদি হয় রুদ্ধ আর ভরাট তাহলে নদীতে থাকবে না আর জল, চলবে না আর নৌকা, গাইবে না মাঝি গান নদী যেন নিষ্প্রাণ । তোজপাড়া গ্রামের আশাফ উদ্দীন, মজিবর রহমান, ভুট্টুসহ অনেকেই বলেন আমরা নদী শুকানো পেয়ে শুধু বোর মৌসুমে ধান চাষ করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, উপজেলাতে ছোট যমুনা নদীতে প্রায় ৯৫ হেক্টর নদীর চরে ধান চাষ হয়েছে।

সচেতন মহলের অভিমত, আমাদের এই ছোট যমুনা বাঁচাতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সরকার যদি মনে করে নদী খননের মধ্য দিয়ে আবারো ফিরিয়ে আনবে নদীর সেই নাব্যতা ও ভরা যৌবন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলম খান বলেন, নদী নতুন করে খনন করতে হবে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীর সরকারীভাবে প্রকল্প তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। পাশ হয়ে আসলে খননের ম্যাধমে সমাধান করা হবে।

বা/খ: এসআর।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ছোট যমুনা নদীতে হচ্ছে ধান ও সবজির চাষ

আপডেট সময় : ১২:১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

// হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগঁ) প্রতিনিধি //

নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদী এখন মরা খালের পরিণত হয়েছে। নদীর বুকে এখন চাষ হচ্ছে ইরি ধান ও সবজি। বিভিন্ন ফসল চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে।

বদলগাছী উপজেলার কোল ঘেঁসে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীতে বর্ষা মৌসুমে ১-২ মাস জোয়ার থাকে। কয়েক বছর ধরে ছোট যমুনা নদী তার আপন সত্বা হারিয়ে আগাম শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে কোথাও কোথাও সাফল্যজনক ভাবে বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির ফলন করছে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকেরা। অথচ এই নদীই ছিল এক সময় এই এলাকার মানুষের নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম নদী। তীব্র গরমে গ্রামের ছোট ছেলেপেলেদের নদীর জলে সাঁতার কাটা দৃশ্য এখন শুধু যেন স্মৃতি হয়ে দাঁড়য়িছে।

বর্তমানে বদলগাছীর এই ছোট যমুনা নদীই যেন নিষ্প্রাণ মরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবে নদীকে নিয়ে যত ছন্দ কবিতা আর গান সব কিছুতেই যেন কলম আজ থমকে দাঁড়িয়েছে।

বদলগাছীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত সেই খরস্রোতা ছোট যমুনা নদী শুধু বর্ষাকালে কয়েকদিনের জন্য ফুটে ওঠে। বাস্তব চিত্র এখন নদীর তলায় চাষাবাদ হচ্ছ।

যমুনা নদীর বর্তমান গতিপথ কূল কিনারা দেখে উপজেলার সচেতন প্রবীণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদরে ধারনা আগামী ১০ বছর পর ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কবির কাব্য কথা কিংবা শিল্পীর গানের কথার মতই হয়ত বা মনে করবে এই খানে এক নদী ছিলো।

বদলগাছীর কাদিবাড়ী ঘাটে প্রবীণ সাধু মাঝি বলেন, নদীর গতি পথ নদীর প্রাণ।  সেই গতি পথ যদি হয় রুদ্ধ আর ভরাট তাহলে নদীতে থাকবে না আর জল, চলবে না আর নৌকা, গাইবে না মাঝি গান নদী যেন নিষ্প্রাণ । তোজপাড়া গ্রামের আশাফ উদ্দীন, মজিবর রহমান, ভুট্টুসহ অনেকেই বলেন আমরা নদী শুকানো পেয়ে শুধু বোর মৌসুমে ধান চাষ করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, উপজেলাতে ছোট যমুনা নদীতে প্রায় ৯৫ হেক্টর নদীর চরে ধান চাষ হয়েছে।

সচেতন মহলের অভিমত, আমাদের এই ছোট যমুনা বাঁচাতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সরকার যদি মনে করে নদী খননের মধ্য দিয়ে আবারো ফিরিয়ে আনবে নদীর সেই নাব্যতা ও ভরা যৌবন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামসুল আলম খান বলেন, নদী নতুন করে খনন করতে হবে।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীর সরকারীভাবে প্রকল্প তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। পাশ হয়ে আসলে খননের ম্যাধমে সমাধান করা হবে।

বা/খ: এসআর।