ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ সারা দেশের ১২৩টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ই আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

জেলাগুলো হলো মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত ঘোষণা করা হলো।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই দশমিক দুই শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনটি স্থান হলো—খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো—মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে—শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।

অন্য উপজেলাগুলো হলো—ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও সদর; নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা; নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও সদর; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দা; বগুড়ার গাবতলী, আদমদীঘি ও সদর; নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও সদর; পাবনার চাটমোহর, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর; ঝিনাইদহ সদর; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও সদর; যশোরে যশোর সদর; কুষ্টিয়ার খোকসা; খুলনার দিঘলিয়া; নড়াইলের কালিয়া; পিরোজপুরে পিরোজপুর সদর; ঝালকাঠি সদর; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা; বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী; সিলেটের বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী; হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর; এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় নয়টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো—পঞ্চগড়, মাগুরা, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় মোট আট লাখ ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারকে ঘর দিয়েছেন। এর আওতায় প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত (১৯৯৭ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত) শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫ জনকে (পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭ পরিবার)।

নিউজটি শেয়ার করুন

১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ সারা দেশের ১২৩টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ই আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

জেলাগুলো হলো মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত ঘোষণা করা হলো।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই দশমিক দুই শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনটি স্থান হলো—খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো—মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে—শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।

অন্য উপজেলাগুলো হলো—ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও সদর; নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা; নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও সদর; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দা; বগুড়ার গাবতলী, আদমদীঘি ও সদর; নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও সদর; পাবনার চাটমোহর, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর; ঝিনাইদহ সদর; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও সদর; যশোরে যশোর সদর; কুষ্টিয়ার খোকসা; খুলনার দিঘলিয়া; নড়াইলের কালিয়া; পিরোজপুরে পিরোজপুর সদর; ঝালকাঠি সদর; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা; বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী; সিলেটের বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী; হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর; এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় নয়টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো—পঞ্চগড়, মাগুরা, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।

প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় মোট আট লাখ ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারকে ঘর দিয়েছেন। এর আওতায় প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত (১৯৯৭ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত) শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫ জনকে (পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭ পরিবার)।