ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খালাস চেয়ে ডেসটিনির চেয়ারম্যানের আাপিল ও জামিন আবেদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেছেন।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রোববার (৬ নভেম্বর) মোহাম্মাদ হোসেনের পক্ষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন ও আপিলটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন।

এর আগে চলতি বছরের ১২ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

এ সময় রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

খালাস চেয়ে ডেসটিনির চেয়ারম্যানের আাপিল ও জামিন আবেদন

আপডেট সময় : ০১:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেছেন।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রোববার (৬ নভেম্বর) মোহাম্মাদ হোসেনের পক্ষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন ও আপিলটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন।

এর আগে চলতি বছরের ১২ মে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

এ সময় রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল।