ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি : সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকের ভীড় 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে //
কুয়াকাটা উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি। দুপুরের পর থেকে আকাশে উঠেছে রোদ। শান্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগর। দু’দিন বিরতির পর কুয়াকাটা সৈকতে নেমেছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। রবিবার (১৪ মে) শেষ বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করতে কুয়াকাটা সৈকতে নামেন কয়েক হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা সৈকত দু’দিন খালি থাকার পর আজ শেষ বিকেলে পর্যটক দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পর্যটকরা সৈকতের লোনা জলে নেমে হাঁটাহাঁটি করছেন। সমুদ্রের সৌন্দর্যমন্ডিত রূপ সেলফোনে ধারণ করছেন। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে সৈকতে ঘোরাঘুরি করছেন। অনেকে আবার ছাতার নিচে বেঞ্চিতে বসে সাগরের রূপ অবলোকন করছেন। শুধু জিরো পয়েন্ট এলাকায় নয় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা জানিয়েছেন, তারা গত দুইদিন কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশের বাধার কারণে সৈকতে নামতে পারেননি। এক ধরনের বন্দীদশার মধ্যে ছিলেন তারা। পুলিশের বার বার মাইকিংয়ের কারনে বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ মানতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সৈকতেই নামা যাবে না। সমুদ্রে নেমে গোসল করা নিষেধ করলেই হতো।
কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি : সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকের ভীড় 
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আজিজ ও নিলিমা দম্পতি বলেন, গত দুদিন পুলিশের বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ ছিলাম। সৈকতে নামলেই পুলিশ মাইকিং করে। আবার অনেক সময় কাছে এসে উঠিয়ে দিয়েছে। রবিবার দুপুরের পর পুলিশের মাইকিং বন্ধ হয়েছে। এখন শান্তিতে ঘুরতে নামছি। গত দু’দিনের চেয়ে আজকের সমুদ্র দেখতে দারুণ লাগছে। কিন্তু আজ রাতে চলে যাচ্ছি।
বরিশাল থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন  আলী আজম,  তিনিও দুদিন এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন। আজ বিকেলে সৈকতে ঘুরতে নেমেছে। সৈকতের ঝাউবাগান পয়েন্টে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ এত লোক কোথা থেকে আসলো? সকালেও সমুদ্র ফাঁকা ছিল। বিকেলের আবহাওয়া ও সমুদ্রের রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
রাজশাহীর ছালাম রেজা নামের এক ব্যবসায়ী গত সপ্তাহে কুয়াকাটা এসেছেন একখণ্ড জমি কিনতে। তিনি কুয়াকাটার পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের মেলাপাড়ায় জমি কিনেছেন। তিনি বলেন, গতকালের চেয়ে আজকের আবহাওয়া ভালো। আজকে বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। ঢেউ ভাঙ্গার শব্দ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, আপাতত পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল করতে নামতে দেয়া হচ্ছে না। তবে সৈকতে ঘোরাঘুরি করতে পারছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল সকালে আগত পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি : সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকের ভীড় 

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে //
কুয়াকাটা উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি। দুপুরের পর থেকে আকাশে উঠেছে রোদ। শান্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগর। দু’দিন বিরতির পর কুয়াকাটা সৈকতে নেমেছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। রবিবার (১৪ মে) শেষ বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করতে কুয়াকাটা সৈকতে নামেন কয়েক হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা সৈকত দু’দিন খালি থাকার পর আজ শেষ বিকেলে পর্যটক দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পর্যটকরা সৈকতের লোনা জলে নেমে হাঁটাহাঁটি করছেন। সমুদ্রের সৌন্দর্যমন্ডিত রূপ সেলফোনে ধারণ করছেন। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে সৈকতে ঘোরাঘুরি করছেন। অনেকে আবার ছাতার নিচে বেঞ্চিতে বসে সাগরের রূপ অবলোকন করছেন। শুধু জিরো পয়েন্ট এলাকায় নয় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা জানিয়েছেন, তারা গত দুইদিন কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশের বাধার কারণে সৈকতে নামতে পারেননি। এক ধরনের বন্দীদশার মধ্যে ছিলেন তারা। পুলিশের বার বার মাইকিংয়ের কারনে বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ মানতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সৈকতেই নামা যাবে না। সমুদ্রে নেমে গোসল করা নিষেধ করলেই হতো।
কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি : সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকের ভীড় 
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আজিজ ও নিলিমা দম্পতি বলেন, গত দুদিন পুলিশের বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ ছিলাম। সৈকতে নামলেই পুলিশ মাইকিং করে। আবার অনেক সময় কাছে এসে উঠিয়ে দিয়েছে। রবিবার দুপুরের পর পুলিশের মাইকিং বন্ধ হয়েছে। এখন শান্তিতে ঘুরতে নামছি। গত দু’দিনের চেয়ে আজকের সমুদ্র দেখতে দারুণ লাগছে। কিন্তু আজ রাতে চলে যাচ্ছি।
বরিশাল থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন  আলী আজম,  তিনিও দুদিন এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন। আজ বিকেলে সৈকতে ঘুরতে নেমেছে। সৈকতের ঝাউবাগান পয়েন্টে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ এত লোক কোথা থেকে আসলো? সকালেও সমুদ্র ফাঁকা ছিল। বিকেলের আবহাওয়া ও সমুদ্রের রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
রাজশাহীর ছালাম রেজা নামের এক ব্যবসায়ী গত সপ্তাহে কুয়াকাটা এসেছেন একখণ্ড জমি কিনতে। তিনি কুয়াকাটার পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের মেলাপাড়ায় জমি কিনেছেন। তিনি বলেন, গতকালের চেয়ে আজকের আবহাওয়া ভালো। আজকে বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। ঢেউ ভাঙ্গার শব্দ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, আপাতত পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল করতে নামতে দেয়া হচ্ছে না। তবে সৈকতে ঘোরাঘুরি করতে পারছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল সকালে আগত পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।
বা/খ: এসআর।