ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের সিন্ডিকেটে জনগণের ভোগান্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

কলাপাড়ায় অসহায় চাষীদের জিম্মি করে ধান কাটার মেশিন ভাড়া নিতে বাধ্য করে লতাচাপলি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. দুলাল সিকদার। এছাড়াও শালিস বাণিজ্য ও সিন্ডিকেট ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার কাছ থেকে কিউ ভাড়া না নিতে চাইলে সে চাষির ক্ষেতে অন্য মেশিন যেতে বাধা প্রদান করা হয়। স্থানীয় বিরোধীয় জমির মিমাংসায় তাকে না রাখলে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয় সেই ভুক্তোভোগীদের। এছাড়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে এ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতাচাপলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল সিকদার। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে সাব ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে চালিয়ে যাচ্ছে তার অবৈধ ব্যবসা। গঙ্গামতির নতুনপাড়া বাজার সংলগ্ন বেড়িবাধেঁর স্লোভের বালু দিতে চলমান অবস্থায় দেখা মিলে সেই অবৈধ ড্রেজারের। এছাড়া দুলাল মেম্বারের ক্ষমতার দাপটে নিরবে কেঁদে বেড়াচ্ছে অসহায় চাষীরা। এলাকার কৃষকদের জিম্মি করে তার থেকে কৃষি সরঞ্জামাদি ভাড়া নিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন অনেকে। ধান কাটার মৌসুমে তার নিকট থেকে ধান কাটার মেশিন ভাড়া নিতে হয়। ওই এলাকায় অন্য কোন মেশিন ভাড়া আনলে তার রোষানলে পরতে হয় ওই চাষীকে। শুধু তাই নয় শালিস বানিজ্যেও রয়েছে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা। জমি জমার বিরোধ মিমাংসায় রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। তার এসকল কাজে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ওই এলাকার সাধারন মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, দুলাল মেম্বারের কাছ থেকে ধান কাঁটার মেশিন ভাড়া নেইনি বলে অন্য কোন মেশিন ভাড়া আনতে দেয়নি। পরে অনেক কষ্টে সেই ধান ঘরে তুলেছি। সে মেম্বার মানুষ অনেক ক্ষমতা। আমরা তার সাথে পারবো কিভাবে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানকার যে কোন জমি-জমার বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ রয়েছে। তাকে ব্যতিরেখে কোন জমি ক্রয়-বিক্রয় করলেও বিভিন্নভাবে তার রোষানলে পরতে হয়।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. দুলাল সিকদারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে বিষয়গুলো অস্বিকার করে তিনি জানান, এগুলোর কোনটাই সত্য নয়।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের সিন্ডিকেটে জনগণের ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

কলাপাড়ায় অসহায় চাষীদের জিম্মি করে ধান কাটার মেশিন ভাড়া নিতে বাধ্য করে লতাচাপলি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. দুলাল সিকদার। এছাড়াও শালিস বাণিজ্য ও সিন্ডিকেট ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার কাছ থেকে কিউ ভাড়া না নিতে চাইলে সে চাষির ক্ষেতে অন্য মেশিন যেতে বাধা প্রদান করা হয়। স্থানীয় বিরোধীয় জমির মিমাংসায় তাকে না রাখলে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয় সেই ভুক্তোভোগীদের। এছাড়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে এ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতাচাপলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল সিকদার। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে সাব ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে চালিয়ে যাচ্ছে তার অবৈধ ব্যবসা। গঙ্গামতির নতুনপাড়া বাজার সংলগ্ন বেড়িবাধেঁর স্লোভের বালু দিতে চলমান অবস্থায় দেখা মিলে সেই অবৈধ ড্রেজারের। এছাড়া দুলাল মেম্বারের ক্ষমতার দাপটে নিরবে কেঁদে বেড়াচ্ছে অসহায় চাষীরা। এলাকার কৃষকদের জিম্মি করে তার থেকে কৃষি সরঞ্জামাদি ভাড়া নিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন অনেকে। ধান কাটার মৌসুমে তার নিকট থেকে ধান কাটার মেশিন ভাড়া নিতে হয়। ওই এলাকায় অন্য কোন মেশিন ভাড়া আনলে তার রোষানলে পরতে হয় ওই চাষীকে। শুধু তাই নয় শালিস বানিজ্যেও রয়েছে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা। জমি জমার বিরোধ মিমাংসায় রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। তার এসকল কাজে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ওই এলাকার সাধারন মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, দুলাল মেম্বারের কাছ থেকে ধান কাঁটার মেশিন ভাড়া নেইনি বলে অন্য কোন মেশিন ভাড়া আনতে দেয়নি। পরে অনেক কষ্টে সেই ধান ঘরে তুলেছি। সে মেম্বার মানুষ অনেক ক্ষমতা। আমরা তার সাথে পারবো কিভাবে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানকার যে কোন জমি-জমার বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ রয়েছে। তাকে ব্যতিরেখে কোন জমি ক্রয়-বিক্রয় করলেও বিভিন্নভাবে তার রোষানলে পরতে হয়।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. দুলাল সিকদারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে বিষয়গুলো অস্বিকার করে তিনি জানান, এগুলোর কোনটাই সত্য নয়।

 

বা/খ: জই