ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কয়লা সংকটে  শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
ডলার সংকটে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এবারই প্রথম পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, কয়লা কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে সরকার। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আসবে কয়লার জাহাজ। ফের সচল হয়ে উঠবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সূত্র জানায়, দুটি ইউনিট মিলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের  উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লা সংকটে ২৫ মে বন্ধ হয় প্রথম ইউনিট। আজ শনিবার মধ্য রাতে বন্ধ হতে পারে দ্বিতীয় ইউনিটও। এর ফলে পুরোপুরি বিদুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে দেশের সর্ববৃহৎ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে। এতে দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র দেশে দেখা দিতে পারে লোডশেডিং।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন,  রাতের ঠিক কোন সময়টাতে ইউনিট বন্ধ হবে তা নির্ভর করছে লোডের ওপর। তবে নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে।  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই কয়লা চলে আসলে আবারও চালু হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশিদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি(সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন  ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করেছিল। এখন কয়লা সরবরাহকারী  নতুন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে এই বিদুৎ কেন্দ্রের।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার প্লান্ট  ম্যানেজার শাহ আব্দুল  মাওলা বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় চললে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কয়লা সংকটে  শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
// কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
ডলার সংকটে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এবারই প্রথম পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, কয়লা কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে সরকার। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আসবে কয়লার জাহাজ। ফের সচল হয়ে উঠবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সূত্র জানায়, দুটি ইউনিট মিলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের  উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লা সংকটে ২৫ মে বন্ধ হয় প্রথম ইউনিট। আজ শনিবার মধ্য রাতে বন্ধ হতে পারে দ্বিতীয় ইউনিটও। এর ফলে পুরোপুরি বিদুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে দেশের সর্ববৃহৎ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে। এতে দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র দেশে দেখা দিতে পারে লোডশেডিং।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন,  রাতের ঠিক কোন সময়টাতে ইউনিট বন্ধ হবে তা নির্ভর করছে লোডের ওপর। তবে নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে।  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই কয়লা চলে আসলে আবারও চালু হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশিদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি(সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন  ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করেছিল। এখন কয়লা সরবরাহকারী  নতুন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে এই বিদুৎ কেন্দ্রের।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার প্লান্ট  ম্যানেজার শাহ আব্দুল  মাওলা বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় চললে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়।