ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের আদেশ মঙ্গলবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের ওপর মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিটটি দায়ের করেন।

পরে রিটকারী আইনজীবী জানান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতার পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয়।

আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই পদের মেয়াদ ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। অথচ ওয়াসার এমডি হিসেবে তাসকিম এ খান গত ১৩ বছর ধরে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এ সময়ে পানির দাম ইউনিট প্রতি ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। তার দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরের মধ্যে ঘষামাজা করে, জাল-জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সেটা তার ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, সেটা কিন্তু তার ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এরপর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

রিটে দুদককে পক্ষ করার বিষয়ে তিনি বলেন, এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনও লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কিনা আপনারা দেখবেন, তার নিয়োগ পত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, জন্মই (নিয়োগ) যার অবৈধ হয়, পরবর্তী সময়ে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তাই আজকে রিটটি ফাইল করেছি। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি। তিনি নাকি আমেরিকায় বসে অফিস করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের আদেশ মঙ্গলবার

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের ওপর মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিটটি দায়ের করেন।

পরে রিটকারী আইনজীবী জানান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতার পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয়।

আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই পদের মেয়াদ ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। অথচ ওয়াসার এমডি হিসেবে তাসকিম এ খান গত ১৩ বছর ধরে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এ সময়ে পানির দাম ইউনিট প্রতি ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। তার দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরের মধ্যে ঘষামাজা করে, জাল-জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সেটা তার ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, সেটা কিন্তু তার ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এরপর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

রিটে দুদককে পক্ষ করার বিষয়ে তিনি বলেন, এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনও লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কিনা আপনারা দেখবেন, তার নিয়োগ পত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, জন্মই (নিয়োগ) যার অবৈধ হয়, পরবর্তী সময়ে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তাই আজকে রিটটি ফাইল করেছি। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি। তিনি নাকি আমেরিকায় বসে অফিস করেন।