ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঊর্ধ্বমুখী দামে স্বস্তি নেই কোনো পণ্যেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দেশের বাজারে চাল-ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ-মরিচ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। বেশিরভাগ পণ্যই কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে পড়ছে অস্বস্তিতে।

গরু, মুরগি, খাসি সবকিছুর দাম আগে থেকেই বাড়তি। বাজারে এখন কম দামে কোনো মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। তাহলে সাধারণ ক্রেতারা কি মাছ কিনে খেতে পারবে না? বাজারের গরিবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামেই সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। কোনো মাছই ক্রেতাদের নাগালে নেই।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ছোট সাইজের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, রুই মাছ আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের কই ২৪০ টাকা, বড় কাতল ৩৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে আকার ভেদে ১০০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট বোয়াল ৬০০, বাইম মাছ ৭০০ টাকা, ছোট বাইলা মাছ ৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এসেছে ইলিশ মাছ। বাজারে প্রচুর ইলিশ এলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া বাজারে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এর চেয়ে কিছুটা ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেড় কেজি বা তারচেয়ে বেশি ওজনের বড় ইলিশগুলো ১৪০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারের গরিবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি।

বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালী জাত ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিতে ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা।

রাজধানীর মিরপুর এলাকার স্থানীয় একটি মাছের বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজিজুর ইসলাম আকাশ। মাছের দাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছোট একটা চাকরি করে ঢাকায় পরিবার নিয়ে টিকে থাকা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজি থেকে শুরু করে ডিমের দামও বাড়তি। গরু-খাসির মাংস কিনে খাওয়ার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি।

মাছের দাম কেন এত বাড়তি— জানতে চাইলে মিরপুরের মাছ বাজারের বিক্রেতা মিঠু রহমান বলেন, কয়েক মাস ধরে মাছের দাম আসলেই বাড়তি যাচ্ছে। মূলত ফিডের দাম (মাছের খাবার) বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহনের খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে।

বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। প্রকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা ৮০-৯০ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন কেজিতে ৯০ টাকা, গোল বেগুন ১৩০ টাকা। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। শিমের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া ও লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, পেঁপে ৫০-৬০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরো ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আবার ভালোমানের বাছাই করা পেঁয়াজ নিতে গেলে কোথাও কোথাও ৭০ টাকাও দিতে হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদা প্রকারভেদে ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মোটা চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সে কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও বেড়েছে ১-২ টাকা। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।

গত ৩-৪ দিনে ডালের দামও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা। আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা।

এদিকে বাজারে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে ভোজ্যতেল। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছিল এক মাস আগে। এর মধ্যেই আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। সেজন্য এখন বেশির ভাগ দোকানে আগের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দরে।

অন্যদিকে বাজারে চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আবার সরকারি চিনিকলের চিনিগুলো প্রতিকেজি ৮৫ টাকা দর নির্ধারিত থাকলেও সেসব বাজারে মিলছে না।

খুচরা বাজারে বেড়েছে খোলা আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। যা আগে ৫ টাকা কম ছিল। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫-৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দামও গত তিন-চার দিনে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি প্রতি কেজি মশুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ এবং আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি সোবহান চৌধুরী বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। দাম শুনে অনেকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। আগে যারা পুরো প্যাকেট নিতেন, তারা খোলা কিনছেন। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।

সপ্তাহের বাজের কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ১৩০ টাকা ডজন। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বিক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, মাঝখানে ডিমের দাম কমে ১২০-১৩০ টাকা হলেও এখন কিছুটা বেড়েছে। কারণ ফার্ম থেকে বেশি দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ঊর্ধ্বমুখী দামে স্বস্তি নেই কোনো পণ্যেই

আপডেট সময় : ০২:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
দেশের বাজারে চাল-ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ-মরিচ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। বেশিরভাগ পণ্যই কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে পড়ছে অস্বস্তিতে।

গরু, মুরগি, খাসি সবকিছুর দাম আগে থেকেই বাড়তি। বাজারে এখন কম দামে কোনো মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। তাহলে সাধারণ ক্রেতারা কি মাছ কিনে খেতে পারবে না? বাজারের গরিবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামেই সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। কোনো মাছই ক্রেতাদের নাগালে নেই।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ছোট সাইজের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, রুই মাছ আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের কই ২৪০ টাকা, বড় কাতল ৩৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে আকার ভেদে ১০০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট বোয়াল ৬০০, বাইম মাছ ৭০০ টাকা, ছোট বাইলা মাছ ৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এসেছে ইলিশ মাছ। বাজারে প্রচুর ইলিশ এলেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া বাজারে এক কেজির কম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এর চেয়ে কিছুটা ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেড় কেজি বা তারচেয়ে বেশি ওজনের বড় ইলিশগুলো ১৪০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারের গরিবের মাছ বলতে এখন আর কিছু নেই। সবকিছুর দামই বাড়তি।

বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালী জাত ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিতে ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা।

রাজধানীর মিরপুর এলাকার স্থানীয় একটি মাছের বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছ কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজিজুর ইসলাম আকাশ। মাছের দাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছোট একটা চাকরি করে ঢাকায় পরিবার নিয়ে টিকে থাকা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজি থেকে শুরু করে ডিমের দামও বাড়তি। গরু-খাসির মাংস কিনে খাওয়ার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি।

মাছের দাম কেন এত বাড়তি— জানতে চাইলে মিরপুরের মাছ বাজারের বিক্রেতা মিঠু রহমান বলেন, কয়েক মাস ধরে মাছের দাম আসলেই বাড়তি যাচ্ছে। মূলত ফিডের দাম (মাছের খাবার) বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহনের খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে।

বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। প্রকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা ৮০-৯০ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন কেজিতে ৯০ টাকা, গোল বেগুন ১৩০ টাকা। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। শিমের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া ও লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, পেঁপে ৫০-৬০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরো ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আবার ভালোমানের বাছাই করা পেঁয়াজ নিতে গেলে কোথাও কোথাও ৭০ টাকাও দিতে হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদা প্রকারভেদে ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মোটা চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সে কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও বেড়েছে ১-২ টাকা। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।

গত ৩-৪ দিনে ডালের দামও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা। আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা।

এদিকে বাজারে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে ভোজ্যতেল। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছিল এক মাস আগে। এর মধ্যেই আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। সেজন্য এখন বেশির ভাগ দোকানে আগের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দরে।

অন্যদিকে বাজারে চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আবার সরকারি চিনিকলের চিনিগুলো প্রতিকেজি ৮৫ টাকা দর নির্ধারিত থাকলেও সেসব বাজারে মিলছে না।

খুচরা বাজারে বেড়েছে খোলা আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। যা আগে ৫ টাকা কম ছিল। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫-৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দামও গত তিন-চার দিনে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি প্রতি কেজি মশুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ এবং আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি সোবহান চৌধুরী বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। দাম শুনে অনেকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। আগে যারা পুরো প্যাকেট নিতেন, তারা খোলা কিনছেন। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।

সপ্তাহের বাজের কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ১৩০ টাকা ডজন। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বিক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, মাঝখানে ডিমের দাম কমে ১২০-১৩০ টাকা হলেও এখন কিছুটা বেড়েছে। কারণ ফার্ম থেকে বেশি দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।