ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উন্নয়ন চলমান রাখতে আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বর্তমানে যে সব কাজ বা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব কাজ চলমান রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশবাসী বাচঁতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
রোববার বিকেলে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। একদিকে নদীর তীর ভাঙে অন্যদিকে তীর গড়ে এটা চলমান।  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়। আমরা এখন উচ্চ মধ্যমায়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এই জন্যে কিন্তু আমরা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছি। যে প্রকল্প অতিতে কখনো কোনো সরকারের সময় এত প্রকল্প নেয়া হয় নাই। এই সরকারের সময় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার অর্থনৈতিকভাবে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে।
জাহিদ ফারুক বলেন, নদী ভাঙন রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু রাতারাতি আমি যদি বলি জিও ব্যাগ ফেলো তাহলে কাজ হবে না। কারণ দুইদিন পর আপনারাই বলবেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক ঠিকাদারের লোকের সঙ্গে মিলে কাজ ঠিকমতো করে নাই। কাজ হইছে আবার ভেঙে গেছে। তাই আমাদের সমীক্ষা করতে হয়। আমাদের আইডাব্লিউএম আছে, সিআইজিএস আছে এরা এসে সমীক্ষা করে বলবে নদীতে কি সমস্যা আগামী একশ বছরে নদীর গতিবিধি কোন দিকে যাবে। এগুলো স্টাডি করে আমাদের জানালে পরে সেই মতাবেক আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করি। এটা রাতারাতি করতে পারব না। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারি জিও ব্যাগ ফেলে আপাতত  ভাঙন বন্ধ করতে পারি। সেটাই করছি। আমি বলে দিয়েছি নদীর নিচে ডুবন্ত চর হচ্ছে কেন। হঠাৎ করে চ্যানেল হয়ে একদিকে ভাঙা শুরু করছে। এখানে নতুন চর আছে কিনা আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা আমাকে জানাবে এরপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা সতেষ্ট আছি । বাংলাদেশে নদী ভাঙতে থাকবে আমরা কাজ করতেই থাকব। তবে অতিতের মতো না যে নদী ভাঙতে থাকবে আমরা কাজ করব না । এখন নদী ভাঙন রোধে সরকারের লক্ষ্য আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পুরো নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এখানে অনেক ব্যয়। এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করতে ব্যয় হয় (নদীর অবস্থান ভেদে) ৮০ কোটি থেকে ১১০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এটা অনেক ব্যয় বহুল। তারপরেও আমরা করেছি। এসব বাঁধের কাজ হচ্ছে। এটা করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে।
তিনি বলেন, যদি এই দেশবাসি বাঁচতে চায় তাহলে আবারো এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলে যে সমস্ত প্রকল্প এই এলাকার লোকজন আজকে আমাকে দিয়েছেন। যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছিল। সব দেশই এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারপরও কিন্তু আমাদের প্রকল্প বন্ধ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডে আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে প্রকল্প পাশ করাই এবং কাজ চলমান থাকে।  এটা কিভাবে সম্ভব? এটা শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে সম্ভব। অন্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে  প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক করেন। এরপর ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তারা এই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক তো আওয়ামী লীগের নয়, এটা সাধারন মানুষের জন্য। নদী ভাঙন রোধে যে কাজ গুলো হয়েছে এগুলোও আওয়ামী লীগের নয়, এসব সাধারন মানুষ উপভোগ করবে। তারা নিচিন্ত থাকবে এবং নিরাপদে থাকবে। কিন্তু তারা (বিএনপি) এসে আবারো এসব চলমান বাঁধের কাজ বন্ধ করে দিবে। সুতরাং আপনারা যদি কাজ চলমান রাখতে চান এবং নতুন প্রকল্প চালু করতে চান তাহলে এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
জাহিদ ফারুক বলেন, দেশে যে সমস্ত নারী পুরুষ আমৃত্যু ভাতা পাচ্ছেন। এটাও বর্তমান সরকারে অবদানে পাচ্ছেন। যারা মারা যাবেন তখন তার পরিবর্তে অন্য কেউ ভাতা পাবেন। আমৃত্যু ভাতা কোন সরকারই দেয় না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আমৃত্যু ভাতা দিচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিওয়ন) রমজান আলী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

উন্নয়ন চলমান রাখতে আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
// ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বর্তমানে যে সব কাজ বা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব কাজ চলমান রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশবাসী বাচঁতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
রোববার বিকেলে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। একদিকে নদীর তীর ভাঙে অন্যদিকে তীর গড়ে এটা চলমান।  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়। আমরা এখন উচ্চ মধ্যমায়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এই জন্যে কিন্তু আমরা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছি। যে প্রকল্প অতিতে কখনো কোনো সরকারের সময় এত প্রকল্প নেয়া হয় নাই। এই সরকারের সময় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার অর্থনৈতিকভাবে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে।
জাহিদ ফারুক বলেন, নদী ভাঙন রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু রাতারাতি আমি যদি বলি জিও ব্যাগ ফেলো তাহলে কাজ হবে না। কারণ দুইদিন পর আপনারাই বলবেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক ঠিকাদারের লোকের সঙ্গে মিলে কাজ ঠিকমতো করে নাই। কাজ হইছে আবার ভেঙে গেছে। তাই আমাদের সমীক্ষা করতে হয়। আমাদের আইডাব্লিউএম আছে, সিআইজিএস আছে এরা এসে সমীক্ষা করে বলবে নদীতে কি সমস্যা আগামী একশ বছরে নদীর গতিবিধি কোন দিকে যাবে। এগুলো স্টাডি করে আমাদের জানালে পরে সেই মতাবেক আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করি। এটা রাতারাতি করতে পারব না। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারি জিও ব্যাগ ফেলে আপাতত  ভাঙন বন্ধ করতে পারি। সেটাই করছি। আমি বলে দিয়েছি নদীর নিচে ডুবন্ত চর হচ্ছে কেন। হঠাৎ করে চ্যানেল হয়ে একদিকে ভাঙা শুরু করছে। এখানে নতুন চর আছে কিনা আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা আমাকে জানাবে এরপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা সতেষ্ট আছি । বাংলাদেশে নদী ভাঙতে থাকবে আমরা কাজ করতেই থাকব। তবে অতিতের মতো না যে নদী ভাঙতে থাকবে আমরা কাজ করব না । এখন নদী ভাঙন রোধে সরকারের লক্ষ্য আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পুরো নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এখানে অনেক ব্যয়। এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করতে ব্যয় হয় (নদীর অবস্থান ভেদে) ৮০ কোটি থেকে ১১০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এটা অনেক ব্যয় বহুল। তারপরেও আমরা করেছি। এসব বাঁধের কাজ হচ্ছে। এটা করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে।
তিনি বলেন, যদি এই দেশবাসি বাঁচতে চায় তাহলে আবারো এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলে যে সমস্ত প্রকল্প এই এলাকার লোকজন আজকে আমাকে দিয়েছেন। যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছিল। সব দেশই এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারপরও কিন্তু আমাদের প্রকল্প বন্ধ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডে আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে প্রকল্প পাশ করাই এবং কাজ চলমান থাকে।  এটা কিভাবে সম্ভব? এটা শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে সম্ভব। অন্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে  প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিক করেন। এরপর ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তারা এই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক তো আওয়ামী লীগের নয়, এটা সাধারন মানুষের জন্য। নদী ভাঙন রোধে যে কাজ গুলো হয়েছে এগুলোও আওয়ামী লীগের নয়, এসব সাধারন মানুষ উপভোগ করবে। তারা নিচিন্ত থাকবে এবং নিরাপদে থাকবে। কিন্তু তারা (বিএনপি) এসে আবারো এসব চলমান বাঁধের কাজ বন্ধ করে দিবে। সুতরাং আপনারা যদি কাজ চলমান রাখতে চান এবং নতুন প্রকল্প চালু করতে চান তাহলে এই সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
জাহিদ ফারুক বলেন, দেশে যে সমস্ত নারী পুরুষ আমৃত্যু ভাতা পাচ্ছেন। এটাও বর্তমান সরকারে অবদানে পাচ্ছেন। যারা মারা যাবেন তখন তার পরিবর্তে অন্য কেউ ভাতা পাবেন। আমৃত্যু ভাতা কোন সরকারই দেয় না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আমৃত্যু ভাতা দিচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেন এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিওয়ন) রমজান আলী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।