ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উত্তাপ গরু-মুরগির মাংসের বাজারে, সবজিতে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে গরুর মাংস ও ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। আর ৫০-১০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে।

আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় এই দামের চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকার বেশি। চড়া দামের জন্য সরবরাহ কমের সেই পুরানো অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে তা মানতে নারাজ ভোক্তারা। তাদের দাবি সরকারি সংস্থার তদারকির অভাবের সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

ঈদ সামনে রেখে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা সোহেল। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগিরসহ সব ধরনের মুরগির দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

মুরগির পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে খাসির মাংসও প্রতি কেজি ১১০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এতিকে সবজির বাজারে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি, মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা। পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও চিতল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরপুঁটি মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

এদিকে ঈদে চাহিদার সঙ্গে বিক্রি বেড়েছে গরম মসলা ও সেমাইয়ের। তবে দাম দিতে হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তাপ গরু-মুরগির মাংসের বাজারে, সবজিতে স্বস্তি

আপডেট সময় : ০৩:১১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে গরুর মাংস ও ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। আর ৫০-১০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে।

আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় এই দামের চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকার বেশি। চড়া দামের জন্য সরবরাহ কমের সেই পুরানো অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে তা মানতে নারাজ ভোক্তারা। তাদের দাবি সরকারি সংস্থার তদারকির অভাবের সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

ঈদ সামনে রেখে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা সোহেল। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগিরসহ সব ধরনের মুরগির দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

মুরগির পাশাপাশি বাজারে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে খাসির মাংসও প্রতি কেজি ১১০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এতিকে সবজির বাজারে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি, মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা। পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও চিতল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরপুঁটি মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

এদিকে ঈদে চাহিদার সঙ্গে বিক্রি বেড়েছে গরম মসলা ও সেমাইয়ের। তবে দাম দিতে হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।