ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উজিরপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এমপির সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে মারামারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আঃ রহিম সরদার, উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি :

বরিশালের উজিরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলমের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে মারামারি। গুরুতর আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা শেষ করলেন সংসদ সদস্য, ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা। ২৬ মার্চ সকাল ৯.৪০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ ব্যাপারে ইদ্রিস সরদার জানান, সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য স্কুল মাঠে চলে যান। সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা সভাকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম ভাইকে সালাম বিনিময় করি। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর দালাল বলে কটুক্তি করে। আমি এর উত্তরে ইকবাল চেয়ারম্যানকে বলি সকল কিছু আপনারাই শিক্ষা দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে তার বাহিনী বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ তালুকদার, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিয়াজ কাজী ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রুবেলসহ ১০/১২ জনে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফেঁটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় এমপিসহ কেউ আমাকে রক্ষা করতে আসেনি। পরে কয়েকজন মিলে আমাকে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জামাল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে অবহিত করব, তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন সেটাই আমরা মেনে নিব। নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে ভুল বোঝাবুঝি ও দ্বন্ধ কোন ক্রমেই কাম্য নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান, বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। জাতীয় প্রোগ্রামকে বানচাল করার জন্য যারা এ হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল জানান, ইদ্রিসের সাথে আমার হাস্যরসপূর্ণ কৌতুক হয়েছে, পরে মারামারির বিষয়টি আমি দেখিনি। বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। উজিরপুর মডেল থনার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে এ পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

উজিরপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এমপির সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে মারামারি

আপডেট সময় : ০৪:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

আঃ রহিম সরদার, উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি :

বরিশালের উজিরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলমের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে মারামারি। গুরুতর আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা শেষ করলেন সংসদ সদস্য, ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা। ২৬ মার্চ সকাল ৯.৪০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ ব্যাপারে ইদ্রিস সরদার জানান, সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য স্কুল মাঠে চলে যান। সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা সভাকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম ভাইকে সালাম বিনিময় করি। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর দালাল বলে কটুক্তি করে। আমি এর উত্তরে ইকবাল চেয়ারম্যানকে বলি সকল কিছু আপনারাই শিক্ষা দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে তার বাহিনী বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ তালুকদার, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিয়াজ কাজী ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রুবেলসহ ১০/১২ জনে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফেঁটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় এমপিসহ কেউ আমাকে রক্ষা করতে আসেনি। পরে কয়েকজন মিলে আমাকে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জামাল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে অবহিত করব, তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন সেটাই আমরা মেনে নিব। নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে ভুল বোঝাবুঝি ও দ্বন্ধ কোন ক্রমেই কাম্য নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান, বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। জাতীয় প্রোগ্রামকে বানচাল করার জন্য যারা এ হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল জানান, ইদ্রিসের সাথে আমার হাস্যরসপূর্ণ কৌতুক হয়েছে, পরে মারামারির বিষয়টি আমি দেখিনি। বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। উজিরপুর মডেল থনার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে এ পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।

বা/খ: এসআর।