ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি //

পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১ টার দিকে  ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে দ্বিতীয় দফায় এ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ-মিছিলে রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিভিন্ন শাখা কমিটির সদস্যরা সংহতি প্রকাশ করেন।

মিছিলে রেলের ট্রেনচালক, শ্রমিক, কর্মচারীরা ‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও এক হও’ স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় সাত দিনের মধ্যে দাবি না মানলে রেলের চাকা বন্ধের হুশিয়ারি দেন রেলের রানিং স্টাফ ও কর্মচারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতি ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মো. ফজলুল রহমানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মো. শাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন,  বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের ঈশ্বরী শাখার সম্পাদক এস এম ইকবাল মাহাবুব, ঈশ্বরদী শাখার রেলওয়ে শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএম আহসান উদ্দিন (আশা), বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম,টিটিই এসোসিয়েশন পশ্চিমাঞ্চল  মামুন মিয়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার ১ জুন পাকশীতে কর্মসূচির মাধ্যমে  তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী ১৩ জুনের মধ্যে পূর্বের ন্যয় রানিং স্টাফদের ৭৫% মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নিষ্পত্তি করতে হবে, সফটওয়্যার সিস্টেমে (আইবাস প্লাস) রানিং স্টাফদের বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে, নিয়োগ বিধি-২০২০ সংশোধন করে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে, চুক্তিভিত্তিক ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করতে হবে। দাবি উত্থাপন করে স্বারকলিপি পেশ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম।

পরে সমিতির পক্ষ থেকে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক(ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বরাবর একটি স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ডিআরএম শাহ সুফি নূর মোহাম্মদের অনুপস্থিতিতে এ স্বারকলিপি গ্রহণ করেন পাকশি বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলর এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম আহসান উদ্দিন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলর এর সম্পাদক এস এম ইকবাল মাহবুব, বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি (আরএসকেএস) সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল টিটিই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রেলের রানিং স্টাফরা ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী পার্ট অব পে হিসাবে ট্রেন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে রানিং স্টাফদের আইবাস প্লাস সিস্টেমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে।  বর্তমানে ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার পর বিশ্রামে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের।

তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ৮ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার পর যে চুক্তি হয়েছিল তা ষড়যন্ত্র করে বাতিল করার একটা পায়তারা চলছে। আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলো পূর্বাঞ্চল পাচ্ছে কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। একই রেলের দুই আইন আমরা মানব না। আমাদের দাবি মেনে না নিলে রেলওয়ে নিয়ম তান্ত্রিক বিধি অনুযায়ী চাকরি পালন করবেন এবং ট্রেনের চাকা বন্ধ করে দিব এবং কঠোর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যাবো।

পাকশি বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল বলেন, আপনাদের যে সকল দাবি রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। যৌক্তিক দাবিগুলো খুব শিগগিরই মেনে নেওয়া হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আপনাদের সহযোগিতা করার। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি কঠোর করবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

// ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি //

পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১ টার দিকে  ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে দ্বিতীয় দফায় এ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ-মিছিলে রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিভিন্ন শাখা কমিটির সদস্যরা সংহতি প্রকাশ করেন।

মিছিলে রেলের ট্রেনচালক, শ্রমিক, কর্মচারীরা ‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও এক হও’ স্লোগানে প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় সাত দিনের মধ্যে দাবি না মানলে রেলের চাকা বন্ধের হুশিয়ারি দেন রেলের রানিং স্টাফ ও কর্মচারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতি ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মো. ফজলুল রহমানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মো. শাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন,  বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের ঈশ্বরী শাখার সম্পাদক এস এম ইকবাল মাহাবুব, ঈশ্বরদী শাখার রেলওয়ে শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএম আহসান উদ্দিন (আশা), বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম,টিটিই এসোসিয়েশন পশ্চিমাঞ্চল  মামুন মিয়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার ১ জুন পাকশীতে কর্মসূচির মাধ্যমে  তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী ১৩ জুনের মধ্যে পূর্বের ন্যয় রানিং স্টাফদের ৭৫% মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নিষ্পত্তি করতে হবে, সফটওয়্যার সিস্টেমে (আইবাস প্লাস) রানিং স্টাফদের বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে, নিয়োগ বিধি-২০২০ সংশোধন করে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে, চুক্তিভিত্তিক ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করতে হবে। দাবি উত্থাপন করে স্বারকলিপি পেশ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম।

পরে সমিতির পক্ষ থেকে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক(ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বরাবর একটি স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ডিআরএম শাহ সুফি নূর মোহাম্মদের অনুপস্থিতিতে এ স্বারকলিপি গ্রহণ করেন পাকশি বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলর এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম আহসান উদ্দিন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলর এর সম্পাদক এস এম ইকবাল মাহবুব, বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি (আরএসকেএস) সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল টিটিই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রেলের রানিং স্টাফরা ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী পার্ট অব পে হিসাবে ট্রেন পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে রানিং স্টাফদের আইবাস প্লাস সিস্টেমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে।  বর্তমানে ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার পর বিশ্রামে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের।

তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ৮ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার পর যে চুক্তি হয়েছিল তা ষড়যন্ত্র করে বাতিল করার একটা পায়তারা চলছে। আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলো পূর্বাঞ্চল পাচ্ছে কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। একই রেলের দুই আইন আমরা মানব না। আমাদের দাবি মেনে না নিলে রেলওয়ে নিয়ম তান্ত্রিক বিধি অনুযায়ী চাকরি পালন করবেন এবং ট্রেনের চাকা বন্ধ করে দিব এবং কঠোর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যাবো।

পাকশি বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল বলেন, আপনাদের যে সকল দাবি রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। যৌক্তিক দাবিগুলো খুব শিগগিরই মেনে নেওয়া হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আপনাদের সহযোগিতা করার। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি কঠোর করবেন না।