ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দরপতন ঘটছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরেক বৃহৎ রপ্তানিকারক ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে বৈশ্বিক বাজারে চিনির দরপতন ঘটছেই। গতকাল শুক্রবারই (১ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভোগ্যপণ্যটি দর হারিয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে একদিনে এত বড় মূল্য হ্রাস দেখা যায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আলোচ্য কার্যদিবসে আইসিই’তে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ০৯ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল ২৪ দশমিক ৯৫ সেন্ট। বিগত ৩ মাসের মধ্যে তা ছিল সর্বনিম্ন। সবমিলিয়ে সবশেষ সপ্তাহে বেঞ্চমার্কটির দাম নিম্নগামী হয়েছে ৭ শতাংশ।

একই কর্মদিবসে আসছে মার্চের সাদা চিনির দর কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৯৬ ডলার ৮০ সেন্টে। গত ৩০ নভেম্বর যা ছিল ৭৩৪ ডলার ৭০ সেন্ট। অর্থাৎ ১ দিনের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৩৮ ডলার।

গত মৌসুমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ইউক্রেন থেকে চিনির আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণ। চলমান ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষের শুরুতেও সেটা অব্যাহত আছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। তাতে ব্লকটিতে চিনি রপ্তানির শীর্ষ স্থান খোয়াতে বসেছে ব্রাজিল। ফলে অন্য বাজার খুঁজতে হচ্ছে দেশটিকে। তবে সহসাই তা মিলছে না। স্বাভাবিকভাবেই ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটছে।

ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন ২০২৩/২৪ অর্থবছরে বার্ষিক ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। সবমিলিয়ে রেকর্ড ৪৬ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন টন তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির সরকারি সংস্থা কোনাব জানায়, অনুকূল আবহাওয়ায় সেখানে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদনে এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দরপতন ঘটছে

আপডেট সময় : ১১:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরেক বৃহৎ রপ্তানিকারক ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে বৈশ্বিক বাজারে চিনির দরপতন ঘটছেই। গতকাল শুক্রবারই (১ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভোগ্যপণ্যটি দর হারিয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে একদিনে এত বড় মূল্য হ্রাস দেখা যায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আলোচ্য কার্যদিবসে আইসিই’তে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ০৯ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল ২৪ দশমিক ৯৫ সেন্ট। বিগত ৩ মাসের মধ্যে তা ছিল সর্বনিম্ন। সবমিলিয়ে সবশেষ সপ্তাহে বেঞ্চমার্কটির দাম নিম্নগামী হয়েছে ৭ শতাংশ।

একই কর্মদিবসে আসছে মার্চের সাদা চিনির দর কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৯৬ ডলার ৮০ সেন্টে। গত ৩০ নভেম্বর যা ছিল ৭৩৪ ডলার ৭০ সেন্ট। অর্থাৎ ১ দিনের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৩৮ ডলার।

গত মৌসুমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ইউক্রেন থেকে চিনির আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণ। চলমান ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষের শুরুতেও সেটা অব্যাহত আছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। তাতে ব্লকটিতে চিনি রপ্তানির শীর্ষ স্থান খোয়াতে বসেছে ব্রাজিল। ফলে অন্য বাজার খুঁজতে হচ্ছে দেশটিকে। তবে সহসাই তা মিলছে না। স্বাভাবিকভাবেই ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটছে।

ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন ২০২৩/২৪ অর্থবছরে বার্ষিক ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। সবমিলিয়ে রেকর্ড ৪৬ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন টন তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির সরকারি সংস্থা কোনাব জানায়, অনুকূল আবহাওয়ায় সেখানে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদনে এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।