ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অর্ধেক জনবল নিয়ে ধুকছে ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ: জনভোগান্তি চরমে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
যে পরিমান জনবল নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করার নির্দেশনা রয়েছে তার চেয়েও অর্ধেক জনবল নিয়ে ধুকে ধুকে দিনাতিপাত করছেন ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ। ফলশ্রুতিতে ঈশ্বরদী বাজার, চাঁদ আলী মোড়, রেলগেট, পোস্ট অফিস মোড়, দাশুড়িয়া, রুপপুরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ চত্বর গুলোতে আজগুবি যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ অফিস সূত্রে জানাযায়,  এই উপজেলায় ট্রাফিক জোনের আওতায় মোট ১৫ জন সদস্য থাকার পরিবর্তে রয়েছে মাত্র ৮ জন। যার মধ্যে ১ জনকে দিয়ে অফিসিয়াল কাজ করানো হয়ে থাকে। বাকি সাত সদস্য নিয়ে এখানকার ট্রাফিক কন্ট্রোল করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। যার দৃশ্যমান চিত্রের দেখা মেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অনর্থক জ্যামে আটকে থাকা ভুক্ত ভোগীদের দেখে।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণস্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম পয়েন্ট পোষ্ট অফিস মোড়। চার মাথা হওয়ার সুবাদে এখানে দিনের অধিকাংশ সময় কারণে অকারণে যানজট লেগেই থাকে। এখানে যানজটে প্রায়ই আটকে অনেক সময় নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন, ঈশ্বরদী সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার। তিনি ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ঈশ্বরদীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের এত উদাসীনতার কারন উদঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশান না নিলে এখানকার মানুষের ভোগান্তি দুর হবে না।
সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ছাফিন ইসলাম প্রতিদিনই মা সীমা খাতুনের সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে আসতে তাকে প্রায়ই আধাঘন্টা সময় পোস্ট অফিস মোড়ে আটকে থাকতে হয় বলে অগোছালো ট্রাফিকের দ্বায়িত্বহীনতা নিয়ে তার মায়ের আক্ষেপের শেষ নেই।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল লতিফ মিন্টু বলেন, ঈশ্বরদীর মত একটি উন্নত উপজেলাতে অলস ট্রাফিক ব্যবস্থা এখানকার নাগরিকদের জীবন বিষিয়ে তুলছে। আমি এখানকার ট্রাফিকের দ্বায়িত্বে তৎপর হওয়ার জন্য এসপিকেও অবহিত করেছি।
ঈশ্বরদী পৌরসভার নগরপিতা ইসহাক আলী মালিথা বলেন, রুপপুর পারমানবিকের কর্মীদের আনাগোনা এবং বিদেশীদের উপস্থিতিতে এখানকার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের ও বেশী। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য এখানকার  ট্রাফিক ব্যবস্থা অত্যন্ত নগন্য। অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় সদস্যদের নিয়ে ঈশ্বরদীর মানুষের দৈনন্দিন ভোগান্তি লাঘোব করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা তার।
ট্রাফিক অবস্থার এমন বেহাল দশা কেন জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঈশ্বরদী অফিসে জনবল সংকট দীর্ঘদিন ধরে। আমরা অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করছি তাই শহরজুড়ে যানজট নিরসন করতে পারছি না। তবে আমাদের জনবলের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। বর্ধিত জনবল পেলেই যানজট ব্যবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা রাখি।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্ধেক জনবল নিয়ে ধুকছে ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ: জনভোগান্তি চরমে

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
যে পরিমান জনবল নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করার নির্দেশনা রয়েছে তার চেয়েও অর্ধেক জনবল নিয়ে ধুকে ধুকে দিনাতিপাত করছেন ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ। ফলশ্রুতিতে ঈশ্বরদী বাজার, চাঁদ আলী মোড়, রেলগেট, পোস্ট অফিস মোড়, দাশুড়িয়া, রুপপুরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ চত্বর গুলোতে আজগুবি যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ অফিস সূত্রে জানাযায়,  এই উপজেলায় ট্রাফিক জোনের আওতায় মোট ১৫ জন সদস্য থাকার পরিবর্তে রয়েছে মাত্র ৮ জন। যার মধ্যে ১ জনকে দিয়ে অফিসিয়াল কাজ করানো হয়ে থাকে। বাকি সাত সদস্য নিয়ে এখানকার ট্রাফিক কন্ট্রোল করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। যার দৃশ্যমান চিত্রের দেখা মেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অনর্থক জ্যামে আটকে থাকা ভুক্ত ভোগীদের দেখে।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণস্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম পয়েন্ট পোষ্ট অফিস মোড়। চার মাথা হওয়ার সুবাদে এখানে দিনের অধিকাংশ সময় কারণে অকারণে যানজট লেগেই থাকে। এখানে যানজটে প্রায়ই আটকে অনেক সময় নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন, ঈশ্বরদী সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার। তিনি ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ঈশ্বরদীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের এত উদাসীনতার কারন উদঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশান না নিলে এখানকার মানুষের ভোগান্তি দুর হবে না।
সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ছাফিন ইসলাম প্রতিদিনই মা সীমা খাতুনের সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে আসতে তাকে প্রায়ই আধাঘন্টা সময় পোস্ট অফিস মোড়ে আটকে থাকতে হয় বলে অগোছালো ট্রাফিকের দ্বায়িত্বহীনতা নিয়ে তার মায়ের আক্ষেপের শেষ নেই।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল লতিফ মিন্টু বলেন, ঈশ্বরদীর মত একটি উন্নত উপজেলাতে অলস ট্রাফিক ব্যবস্থা এখানকার নাগরিকদের জীবন বিষিয়ে তুলছে। আমি এখানকার ট্রাফিকের দ্বায়িত্বে তৎপর হওয়ার জন্য এসপিকেও অবহিত করেছি।
ঈশ্বরদী পৌরসভার নগরপিতা ইসহাক আলী মালিথা বলেন, রুপপুর পারমানবিকের কর্মীদের আনাগোনা এবং বিদেশীদের উপস্থিতিতে এখানকার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের ও বেশী। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য এখানকার  ট্রাফিক ব্যবস্থা অত্যন্ত নগন্য। অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় সদস্যদের নিয়ে ঈশ্বরদীর মানুষের দৈনন্দিন ভোগান্তি লাঘোব করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা তার।
ট্রাফিক অবস্থার এমন বেহাল দশা কেন জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঈশ্বরদী অফিসে জনবল সংকট দীর্ঘদিন ধরে। আমরা অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করছি তাই শহরজুড়ে যানজট নিরসন করতে পারছি না। তবে আমাদের জনবলের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। বর্ধিত জনবল পেলেই যানজট ব্যবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা রাখি।
বা/খ: এসআর।