ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন ফখরুল-আব্বাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে টানা একমাস কারাবন্দি থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিন সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্ত হন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আজ সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এলে আমরা জামিননামা দাখিল করি। এ জামিননামা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারামুক্তি দেওয়া হয়।

কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে।

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পাশে দাঁড়ানো দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা জামিন বাতিলের আবেদনটিও নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন আদালত।

এরপর আসামিদের জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিনই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল না করতে বলা হয়।

এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রাখলে এই দুই নেতা মুক্তির পথ খুলে যায়।

এসময় কেরানীগঞ্জের কারাগারে মুক্তির সময়ে মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০১৫ সালে প্রায় ৯ মাস কারাবাসের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মির্জা আব্বাস আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নাচক করে দিয়ে কারাগারে যান। তবে ১৮ দিন পর উচ্চ আদালতের জামিনে তিনি মুক্ত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন ফখরুল-আব্বাস

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে টানা একমাস কারাবন্দি থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিন সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্ত হন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আজ সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এলে আমরা জামিননামা দাখিল করি। এ জামিননামা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারামুক্তি দেওয়া হয়।

কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে।

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পাশে দাঁড়ানো দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা জামিন বাতিলের আবেদনটিও নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন আদালত।

এরপর আসামিদের জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিনই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল না করতে বলা হয়।

এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রাখলে এই দুই নেতা মুক্তির পথ খুলে যায়।

এসময় কেরানীগঞ্জের কারাগারে মুক্তির সময়ে মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০১৫ সালে প্রায় ৯ মাস কারাবাসের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মির্জা আব্বাস আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নাচক করে দিয়ে কারাগারে যান। তবে ১৮ দিন পর উচ্চ আদালতের জামিনে তিনি মুক্ত হন।