সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ। এ দেশে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো কিছু থাকবে তা খুবই দুঃখজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উস্কানির বীজ বপন করতে চায়, তাদের ভবিষ্যতে এসব কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) আর সম্পৃক্ত করা হবে না। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্রে যারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মোডারেটিং এমনভাবে হয় যে যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না। একই সঙ্গে মডারেটরের বাইরে ওই প্রশ্নের একটি অক্ষরও কারো দেখার সুযোগ থাকে না। আমাদের একদম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে- কী কী বিষয় মাথায় রেখে এ প্রশ্নগুলো তারা করবেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা না থাকে সেটিও নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়ত এই প্রশ্নটি করেছেন। এমনকি যিনি মডারেট করেছেন, তার দৃষ্টি থেকেও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। অথবা তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্নটি কোন সেটার এবং মডারেটর করেছেন। একইসঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পুরোনো সিলেবাস গুলিয়ে ফেলার কাজটি শিক্ষাবোর্ড করেছে বলে এখনো আমাদের মনে হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে, প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে তখন একটি ত্রুটি থেকে যেতে পারে। অথবা ছাপা হওয়ার পর পাকেজিং হওয়ার কোনো এক পর্যায়ে এ ত্রুটি হতে পারে।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রণীত প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সাম্প্রদায়িকতার উস্কানির অংশ হচ্ছে- ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’