ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৬০.২০ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আকাশ না, আমরা এখন পাতালেও যাচ্ছি। রেলকে নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে; এখনো হচ্ছে। সুযোগ পেলেই রেলেও উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে আমরা রেলকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছি। বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে। তাদের সময়ে বহু রেলপথ ব্ন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে প্রতিবারই রেলের উন্নতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অলাভজনক বলে রেল বন্ধের উদ্যোগ নেয় শাসকরা। তারা রেলের লোকবল ছাঁটাই করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।

New Project (7)

রেলের বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরবঙ্গে রেল নিতে যমুনা সেতুতে রেল সংযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেখানে আলাদা সেতু হচ্ছে। এতে সড়ক ও রেল উভয়ই ভালোভাবে চলতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সেখানে রেলপথ সংযোগের কাজ চলছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই সেটি উদ্বোধন করা হবে। খুলনা-মোংলা রেললাইন খালেদা জিয়ার আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা সেটি চালু করছি। এখন প্রায় সব জায়গায় ডাবল রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা একসময় রেলের বিরোধিতা করেছিল এখন তারাই প্রস্তাব দেয় নতুন রেলসেতু করতে। তাই যমুনা নদীর ওপর নতুন রেলসেতু আমরা নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান জানান, খুলনা থেকে বাগেরহাট, বাগেরহাট থেকে মোংলা রেল সংযোগ খালেদা জিয়ার আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা এখন নতুন ব্রিজ এবং রেললাইন নির্মাণ করে যাচ্ছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইন একসময় বন্ধ ছিল। আমরা নতুন করে আবার তা চালু করেছি। সারা বাংলাদেশে রেল সংযোগ চালু রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাঁশি ও পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রেললাইন সংস্কার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হওয়ার সময় যে রেল সংযোগগুলো বন্ধ ছিল একে একে সেগুলোও আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।

মেট্রোরেলের পর পাতালরেল নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমআরটি-১ এর অধীনে পাতালরেলের কাজও আমরা শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এটা চালু করতে পারব। পাতালরেল চালুর মাধ্যমে অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি হবে। মানুষের যোগাযোগ, যাতায়াত এবং ঢাকা শহরের যানজটও ঘুচে যাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেলের কথা একটা সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না, এখন মানুষ প্রতিদিনই উঠছে। মাত্র ১০ মিনিটে আগারগাঁও থেকে উত্তরা যেতে পারছে। এই মাসের মধ্যে আরও কিছু স্টেশন চালু করা হবে। তখন মানুষ এই সেবা পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৬০.২০ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আকাশ না, আমরা এখন পাতালেও যাচ্ছি। রেলকে নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে; এখনো হচ্ছে। সুযোগ পেলেই রেলেও উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে আমরা রেলকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছি। বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে। তাদের সময়ে বহু রেলপথ ব্ন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে প্রতিবারই রেলের উন্নতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অলাভজনক বলে রেল বন্ধের উদ্যোগ নেয় শাসকরা। তারা রেলের লোকবল ছাঁটাই করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।

New Project (7)

রেলের বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরবঙ্গে রেল নিতে যমুনা সেতুতে রেল সংযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেখানে আলাদা সেতু হচ্ছে। এতে সড়ক ও রেল উভয়ই ভালোভাবে চলতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সেখানে রেলপথ সংযোগের কাজ চলছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই সেটি উদ্বোধন করা হবে। খুলনা-মোংলা রেললাইন খালেদা জিয়ার আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা সেটি চালু করছি। এখন প্রায় সব জায়গায় ডাবল রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা একসময় রেলের বিরোধিতা করেছিল এখন তারাই প্রস্তাব দেয় নতুন রেলসেতু করতে। তাই যমুনা নদীর ওপর নতুন রেলসেতু আমরা নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান জানান, খুলনা থেকে বাগেরহাট, বাগেরহাট থেকে মোংলা রেল সংযোগ খালেদা জিয়ার আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা এখন নতুন ব্রিজ এবং রেললাইন নির্মাণ করে যাচ্ছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইন একসময় বন্ধ ছিল। আমরা নতুন করে আবার তা চালু করেছি। সারা বাংলাদেশে রেল সংযোগ চালু রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাঁশি ও পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রেললাইন সংস্কার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হওয়ার সময় যে রেল সংযোগগুলো বন্ধ ছিল একে একে সেগুলোও আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।

মেট্রোরেলের পর পাতালরেল নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমআরটি-১ এর অধীনে পাতালরেলের কাজও আমরা শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এটা চালু করতে পারব। পাতালরেল চালুর মাধ্যমে অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি হবে। মানুষের যোগাযোগ, যাতায়াত এবং ঢাকা শহরের যানজটও ঘুচে যাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেলের কথা একটা সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না, এখন মানুষ প্রতিদিনই উঠছে। মাত্র ১০ মিনিটে আগারগাঁও থেকে উত্তরা যেতে পারছে। এই মাসের মধ্যে আরও কিছু স্টেশন চালু করা হবে। তখন মানুষ এই সেবা পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।