ফারদিন হত্যায় বুশরার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে (২২) পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করছে তদন্ত সংস্থা।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আমাতুল্লাহ বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়ে উচ্চ আদালতের নিয়ম মেনে সতর্কতার সাথে মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। আসামি বুশরা জামিনে মুক্তি পেলে তদন্ত কার্যক্রমে বিঘ্নতা সৃষ্টিসহ পলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করছি
‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে ফারদিন নূর পরশের বাবার করা মামলায় গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে রামপুরা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।