ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে আট থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ৯ জেলার নিম্নবর্তী এলাকাগুলোতে পাঁচ থেকে সাত ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। আজ শুক্রবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংস্থাটির সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এতথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের তিন সমুদ্রবন্দর ও ১২ উপকূলীয় জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উপকূলবর্তী জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা আট নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুর চাপের পার্থক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এ ছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও জেলাগুলোর পাশ্ববর্তী দ্বীপ এবং চরে পাঁচ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মোখার প্রভাব শুরু হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

আপডেট সময় : ১১:০০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে আট থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ৯ জেলার নিম্নবর্তী এলাকাগুলোতে পাঁচ থেকে সাত ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। আজ শুক্রবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংস্থাটির সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এতথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের তিন সমুদ্রবন্দর ও ১২ উপকূলীয় জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উপকূলবর্তী জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা আট নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুর চাপের পার্থক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এ ছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও জেলাগুলোর পাশ্ববর্তী দ্বীপ এবং চরে পাঁচ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মোখার প্রভাব শুরু হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।’