ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করছি : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
চলমান বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে দেশে গ্যাস ও ডিজেল সংকট হচ্ছে। তার প্রভাবে বিদ্যুতের সমস্যাও হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করছেন বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকের স্কিল ট্রেনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্সেস প্রোগ্রামের (স্টার) ১০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী যুব মন্ত্রণালয়কে ১১২ কোটি টাকা দিয়েছে। আমরা একটি প্রকল্পের অধীনে ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট করছি। এই বায়োগ্যাস যদি সঠিকভাবে উৎপাদন করা যায় তাহলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে।

জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, যুব মন্ত্রণালয়ের অধীনে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ লাখ যুবককে ২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে দিয়েছি। যুবকদের উদ্যোক্তা বানাতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে কর্মসংস্থান ও এনআরবিসি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। চুক্তি অনুসারে কর্মসংস্থান ব্যাংক বছরে ৩০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দেবে আর এনআরবিসি ব্যাংক ৫০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দিয়ে সহযোগিতা করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বেশি সহায়তা করছে। তারা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত বিহীন ঋণ দিচ্ছে আর সরকারি ব্যাংক সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিচ্ছে।

দেশের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএলও এক সঙ্গে কাজ করছে— উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা নিয়ে কাজ করছি। তারা ৫ বছর মেয়াদে এই টাকা সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ২০ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় লোকজনের অনেক সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের জন্য আইএলওর সহায়তায় একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়েছি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হবে।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দুই পাশের অনেক লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গৃহহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়া ৪ হাজার ৭০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে ৬ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব উদ্যোক্তা পণ্য তৈরির পরও বিক্রি করতে পারছে না, তাদের জন্য যুব শপ ও যুব কিচেন তৈরি করছি।

সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে গাড়ি চালকের অনেক চাহিদা। তাদের এই চাহিদাকে কীভাবে পূরণ করা যায় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। কীভাবে কর্মসংস্থানের পথে নিয়ে আসা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চার মাস ধরে কাজ করছি। ৪০ জেলায় এক হাজার করে ৪০ হাজার যানবাহনের চালক তৈরিতে কাজ করছি।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, স্টার ১০ বছর ধরে কাজ করছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের ঘরে আলো জ্বালানো, মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যুগ্ম সচিব মু. নুরুজ্জামান শরীফ, সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিডিপি) প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আলফাজ হোসেন এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ডা. মো. ওমর ফারুক।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করছি : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
চলমান বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে দেশে গ্যাস ও ডিজেল সংকট হচ্ছে। তার প্রভাবে বিদ্যুতের সমস্যাও হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করছেন বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকের স্কিল ট্রেনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্সেস প্রোগ্রামের (স্টার) ১০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী যুব মন্ত্রণালয়কে ১১২ কোটি টাকা দিয়েছে। আমরা একটি প্রকল্পের অধীনে ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট করছি। এই বায়োগ্যাস যদি সঠিকভাবে উৎপাদন করা যায় তাহলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে।

জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, যুব মন্ত্রণালয়ের অধীনে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ লাখ যুবককে ২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে দিয়েছি। যুবকদের উদ্যোক্তা বানাতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে কর্মসংস্থান ও এনআরবিসি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। চুক্তি অনুসারে কর্মসংস্থান ব্যাংক বছরে ৩০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দেবে আর এনআরবিসি ব্যাংক ৫০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দিয়ে সহযোগিতা করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বেশি সহায়তা করছে। তারা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত বিহীন ঋণ দিচ্ছে আর সরকারি ব্যাংক সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিচ্ছে।

দেশের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএলও এক সঙ্গে কাজ করছে— উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা নিয়ে কাজ করছি। তারা ৫ বছর মেয়াদে এই টাকা সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ২০ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় লোকজনের অনেক সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের জন্য আইএলওর সহায়তায় একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়েছি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হবে।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দুই পাশের অনেক লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে গৃহহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়া ৪ হাজার ৭০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে ৬ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব উদ্যোক্তা পণ্য তৈরির পরও বিক্রি করতে পারছে না, তাদের জন্য যুব শপ ও যুব কিচেন তৈরি করছি।

সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে গাড়ি চালকের অনেক চাহিদা। তাদের এই চাহিদাকে কীভাবে পূরণ করা যায় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। কীভাবে কর্মসংস্থানের পথে নিয়ে আসা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চার মাস ধরে কাজ করছি। ৪০ জেলায় এক হাজার করে ৪০ হাজার যানবাহনের চালক তৈরিতে কাজ করছি।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, স্টার ১০ বছর ধরে কাজ করছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের ঘরে আলো জ্বালানো, মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যুগ্ম সচিব মু. নুরুজ্জামান শরীফ, সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিডিপি) প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আলফাজ হোসেন এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ডা. মো. ওমর ফারুক।