ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৫৬ বোনকে ভিকারুননিসায় ভর্তির নির্দেশ বহাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ সহোদরা/জমজকে ভর্তির আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে এসব শিশুদের ভর্তি হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে সহোদরাদের রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদরা/জমজকে ভর্তির নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের অভিভাবকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। পরে পৃথক রিট আবেদনে আরও ১৫ জন শিশুর ক্ষেত্রে একই আদেশ দেওয়া হয়।

পরে হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ।

আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানিয়েছিলেন, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে কোনও প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই/বোনকে যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সব সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এরপর একই ধরনের আবেদনে আরও ১৬ জনকে এবং অপর ২ জনকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ ৫৯ জনের ভর্তির আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে। সেটি আজ শুনানিতে ওঠে।

এই বিধান মতে ৫৬ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়। যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।

এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৪১ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই রিট করেন। শুনানিতে হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

৫৬ বোনকে ভিকারুননিসায় ভর্তির নির্দেশ বহাল

আপডেট সময় : ০৩:১৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ সহোদরা/জমজকে ভর্তির আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে এসব শিশুদের ভর্তি হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে সহোদরাদের রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদরা/জমজকে ভর্তির নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের অভিভাবকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। পরে পৃথক রিট আবেদনে আরও ১৫ জন শিশুর ক্ষেত্রে একই আদেশ দেওয়া হয়।

পরে হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ।

আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানিয়েছিলেন, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে কোনও প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই/বোনকে যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সব সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এরপর একই ধরনের আবেদনে আরও ১৬ জনকে এবং অপর ২ জনকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ ৫৯ জনের ভর্তির আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে। সেটি আজ শুনানিতে ওঠে।

এই বিধান মতে ৫৬ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়। যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।

এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৪১ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই রিট করেন। শুনানিতে হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।