৫২ জেলায় তাপপ্রবাহ, জনজীবন অতিষ্ঠ
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ১১:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
- / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য জেলায়ও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
দেশের দুটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৫০টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, নীলাফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা বিভাগের ১৩টি, রাজশাহীর আটটি, খুলনার ১০টি ও বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলাসহ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবানের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
হাফিজুর রহমান আরও জানান, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী দুই দিন চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এর সাথে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি কবে মিলবে তার উত্তরও নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ তাদের। অতিরিক্ত এই গরমে শিশু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে ক্লাস আগামী ৮ই জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস দিনাজপুরে এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নিকলি ও রংপুরে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।