হোসেনপুর -পাকুন্দিয়া - ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে
৩ বছরেও সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে
![](https://banglakhaborbd.com/wp-content/uploads/2023/08/cropped-Bangla_khobor_logo-02-removebg-preview.png)
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৬৮৯ বার পড়া হয়েছে
হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া – ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের কাওনা এলাকায় নরসুন্ধা নদের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার সেতুর কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। এতে চরম ভোগান্তীর শিকার দুই উপজেলার মানুষ।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ, তিন বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতি দিন হাজারো মানুষকে।
স্থানীয় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই কাদা মাটিতে গাড়ি পিছলিয়ে নদে পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী কার্ষাদেশের চুক্তির বর্ণনা ও সেতুর কাজ চলমান এমন সর্তকমূলক সাইনবোর্ড না টানিয়েই দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রাখায় জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেতুর দু’দিকের রেলিং ও সংযোগ সড়কের কাজ ফেলে রাখায় দু’পাশের অনেক রড চুরি হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চর কাওনা এলাকার আব্দুল কাদির, মো: মফিজ উদ্দিন, সৃজন মিয়া ও স্থানীয় সাংবাদিক রফিকুল ইসলামসহ অন্তত ২০ জনের সাথে এ সময় সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ব্রিজ হলো আমাদের গলার ফাঁস আমাদের কলঙ্ক, ব্রিজের কাজ করার সময়ে দু’পাশে কোন সর্তকমূলক সাইন বোর্ড না থাকায় ইতি মধ্যে সংযোগ সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় দু’জন লোক মারা গেছে। এ ছাড়াও প্রায়ই এখানে ডাইভারসনে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান ও অনন্য গাড়ী উল্টে অনেকেই আহত হয়েছে। বিকল্প রাস্তাটিও ভাঙ্গা থাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় রড় সবজি বাজার তারাকান্দি বাজারের সবজিবাহী গাড়ী প্রায়ই উল্টে যায়, অনেক গাড়ীর বাম্পার ভেংগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অটো রিক্সা কয়েকজন মিলে টেনে উপরে উঠাতে হয়। শুকনা মৌসুমে ধুলা-বালিতে নাক-মুখ বন্ধ হয়ে যায়, আর বৃষ্টি হলে গাড়ি পিছলে উল্টে যায়।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৭৮০ মি: চেইনেজে ৪০মিটার দৈর্ঘের পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজের জন্য ২০২১ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার এইচ/এন-৪৬৪, পুনাম পেলস্ , এইচটিবিএল সার্চ (জেবেকা) এর সাথে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কের কাওনা এলাকার নরসুন্ধা নদের উপর ব্রিজটি নির্মাণের চুক্তি হয়। এতে সাব-কন্টাক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় কিশোরগঞ্জ জেলার এস আলমের সাথে। যা সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিলো ওই বছরের মধ্যে। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে বার বার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে সেতুর কাজ সমাপ্ত করাতে পারছেন না।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালীব মুরশীদ জানান, গত দেড় মাস যাবৎ ঠিকাদারের নাম্বারে ফোন দিচ্ছি, কিন্তু ফোন ধরছে না।
তিনি জন দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক দফা কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখনো কাজ শেষ না হওয়ায় তারা বিপাকে রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ে অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।