ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২০২৩ ‘ক্রাইসিস ইয়ার’, সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন কারণে ২০২৩ সাল ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ আশঙ্কায় সবাইকে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ফেডারেল রিজার্ভ, করোনা মহামারি পরবর্তী অবস্থা এবং খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালকে ক্রাইসিস ইয়ার বলা হচ্ছে। সবাইকে এটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্য সঙ্কট ও চিনে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সাল সঙ্কটময় হতে পারে; বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে যাওয়াসহ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য সংকট থেকে যাবে। যে কারণে সবার আগে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, গত পাঁচ-ছয় মাসে আমরা খাদ্য সংকট দেখেছি। আগামী এক থেকে তিন বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, কক কোনো পাকিস্তানি মুরগি না, এটা জয়পুরহাটে ডেভেলপ করা। আমাদের বিজ্ঞানীরাই এটা বানিয়েছেন। তারা এ মুরগির নাম দিয়েছেন ‘সোনালী’। এটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন। এভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তারা উচ্চ বেতনে কাজ পাবেন। এ জন্য শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ফি দিতে হবে না। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি পরিষ্কারও করেছে। এছাড়া নাম ও পরিচয়পত্র দিয়েই কেবল রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে, সর্বাবস্থায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো। রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। খাদ্য মজুত বাড়াতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৩ ‘ক্রাইসিস ইয়ার’, সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

আপডেট সময় : ০২:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন কারণে ২০২৩ সাল ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ আশঙ্কায় সবাইকে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ফেডারেল রিজার্ভ, করোনা মহামারি পরবর্তী অবস্থা এবং খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালকে ক্রাইসিস ইয়ার বলা হচ্ছে। সবাইকে এটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্য সঙ্কট ও চিনে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সাল সঙ্কটময় হতে পারে; বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে যাওয়াসহ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য সংকট থেকে যাবে। যে কারণে সবার আগে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেন, গত পাঁচ-ছয় মাসে আমরা খাদ্য সংকট দেখেছি। আগামী এক থেকে তিন বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, কক কোনো পাকিস্তানি মুরগি না, এটা জয়পুরহাটে ডেভেলপ করা। আমাদের বিজ্ঞানীরাই এটা বানিয়েছেন। তারা এ মুরগির নাম দিয়েছেন ‘সোনালী’। এটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন। এভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তারা উচ্চ বেতনে কাজ পাবেন। এ জন্য শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ফি দিতে হবে না। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি পরিষ্কারও করেছে। এছাড়া নাম ও পরিচয়পত্র দিয়েই কেবল রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে, সর্বাবস্থায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো। রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। খাদ্য মজুত বাড়াতে হবে।