স্পোর্টস ডেস্ক :
গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পাওয়ায় ব্রাজিলের শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ক্যামেরুনের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি দাঁড়িয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করার। তবে এই ম্যাচের আগে ব্রাজিল শিবিরে বড় ধাক্কা। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। টিম শিবিরে এখন করোনা আতঙ্ক।

সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। একই ম্যাচে দল থেকে ছিটকে যান রাইটব্যাক দানিলোও। ইনজুরির কারণে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলতে পারেননি তারা দুজন। সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন অ্যালেক্স সান্দ্রো। ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না এটা নিশ্চিত।

এদিকে, ইনজুরির মধ্যেই নতুন করে দেখা দিয়েছে অসুস্থতা। জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন নেইমার। এরপর থেকে ক্রমেই লম্বা হচ্ছে অসুস্থ খেলোয়াড়ের নামের তালিকাটা। আলিসন, অ্যান্টনি, লুকাস পাকুয়েতা, ভিনিসিউস জুনিয়র, রাফিনিয়ারা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হালকা জ্বর ও গায়ের ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা। কারো আবার যোগ হয়েছে বমি সমস্যা।

আর তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশনে নামতে গিয়ে আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্রাজিল দল নিয়ে আরও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ক্যামেরুনের বিপক্ষে পুরোপুরি দ্বিতীয় সারির দল মাঠে নামানোর সম্ভাবনাই বেশি কোচ তিতের। অন্তত ৮ থেকে ১০টি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলছে।

বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের একবার পরীক্ষা করে দেখতে চান ব্রাজিল কোচ। গোলবারে তিতের বিশ্বস্ত অ্যালিসনকে হয়তো একাদশে দেখা যাবে না। তার পরিবর্তে খেলবেন ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসন। ডিফেন্ডেও সিলভা-মারকুইনহোসকে বসিয়ে ব্রেমার ও মিলিতাওকে সেন্টার ব্যাকে পরীক্ষা করে দেখবেন তিতে।

অন্যদিকে ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকেতা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রিচার্লিসনদের মতো তারকাদেরও ক্যামেরুনের বিপক্ষে বিশ্রাম দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সে কারণে নতুন করে লিভারপুলের মিডফিল্ডার ফ্যাবিনহো এবং ডিফেন্ডার দানি আলভেসরা দলে আসতে চলেছেন একপ্রকার নিশ্চিতই।

আর স্ট্রাইকারে রিচার্লিসনের পরিবর্তে দেখা জেতে পারে গ্যাব্রিয়াল জেসুস অথবা পেদ্রোকে। উইঙ্গে মার্টিনেলি-অ্যান্টনিকে শুরুর একাদশে খেলিয়ে দেখবেন ব্রাজিল কোচ।

এদিকে, বিবিসি বলছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে দলে নেতৃত্ব দিতে পারেন ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস। আর সেটি হলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্রাজিলের সবচেয়ে বুড়ো অধিনায়ক হবেন তিনি।