ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশ বিদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ আসছেন শাহজাদপুরে

হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.)’র বাৎসরিক ওরশ শুরু হচ্ছে আগামীকাল

মোঃ শামছুর রহমান শিশির ও জাহিদ হাসান
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামীকাল ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার দরগাহপাড়াস্থ করতোয়া নদীর তীরে জগৎ বরেণ্য অলী ইয়ামেন শাহাজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর মসজিদ ও মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে ২ দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শরীফ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর খতমে কোরআন, সকালে ইসলামের ঝাঁন্ডা (নিশান) উড়ানোর মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী ওই বাৎসরিক ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আজ বুধবার বাদ যোহর গেলাপ ফাতেহা, বাদ আছর গেলাপ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ও বাদ এশা রওজা মোবারকে গেলাপ চড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার বাদ আছর ফাতেহা পাঠ, বাদ মাগরিব জিকির আসগর ও বাদ এশা ওয়াজ মাহফিল ও নেওয়াজ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ দিনের উক্ত ওরশ শরীফে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান করছেন। উক্ত ওরশ শরীফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্বা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

পরশু, শুক্রবার সারারাত ওয়াজ মাহফিল শেষে শনিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী ওই বাৎসরিক ওরশ শরীফের পরিসমাপ্তি ঘটবে। এদিকে, ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য আশেকান, জাকেরান, ভক্তবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা শাহজাদপুরে আসতে শুরু করেছেন। উক্ত ওরশ শরীফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ইয়ামেন শাষণকর্তা মোয়াজ ইবনে জাবাল এর বংশধর, শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.) ১২৯২ থেকে ১২৯৬ খ্রিষ্টাব্দে মহান ওস্তাদজী হযরত শাহ শামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.) ও ১২ জন সুফী সাধকসহ পানিপথে জাহাজ যোগে এ অঞ্চলে আগমন করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। ওই সময়ে এ অঞ্চলের অমুসলিম অধিপতি রাজা বিক্রম কেশরীর একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হযরত মখদুম শাহদৌলার অতি নিকটে স্থানলাভ করেন। রাজা বিক্রম কেশরীর সৈন্যদের সাথে শেষ ধর্মযুদ্ধ চলাকালীন আছরের নামাজ আদায়রত অবস্থায় ওই গুপ্তচর হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.) এর মস্তক মোবারক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সুরে বিহারের রাজধানী মঙ্গলকোট মতান্তরে মহলকোটে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর মস্তক মোবারক থেকে অলৌকিকভাবে ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ উচ্চারিত হচ্ছিল। এটা দেখে রাজা মুসলমানদের ডেকে তাঁর মস্তক মোবারক দাফন করার নির্দেশ দেন। যে স্থানে তাঁর মস্তক মোবারক দাফন করা হয় আজও তা ‘ছের মোকাম’ নামে পরিচিত। এ ঘটনার পর রাজার প্রধান সেনাপতিসহ অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এরপর থেকে তিনি হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মহান ওই অলীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ হয় শাহজাদপুর।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশ বিদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ আসছেন শাহজাদপুরে

হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.)’র বাৎসরিক ওরশ শুরু হচ্ছে আগামীকাল

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

আগামীকাল ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার দরগাহপাড়াস্থ করতোয়া নদীর তীরে জগৎ বরেণ্য অলী ইয়ামেন শাহাজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) এর মসজিদ ও মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে ২ দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শরীফ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর খতমে কোরআন, সকালে ইসলামের ঝাঁন্ডা (নিশান) উড়ানোর মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী ওই বাৎসরিক ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আজ বুধবার বাদ যোহর গেলাপ ফাতেহা, বাদ আছর গেলাপ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ও বাদ এশা রওজা মোবারকে গেলাপ চড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার বাদ আছর ফাতেহা পাঠ, বাদ মাগরিব জিকির আসগর ও বাদ এশা ওয়াজ মাহফিল ও নেওয়াজ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ দিনের উক্ত ওরশ শরীফে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান করছেন। উক্ত ওরশ শরীফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্বা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

পরশু, শুক্রবার সারারাত ওয়াজ মাহফিল শেষে শনিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী ওই বাৎসরিক ওরশ শরীফের পরিসমাপ্তি ঘটবে। এদিকে, ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য আশেকান, জাকেরান, ভক্তবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা শাহজাদপুরে আসতে শুরু করেছেন। উক্ত ওরশ শরীফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ইয়ামেন শাষণকর্তা মোয়াজ ইবনে জাবাল এর বংশধর, শাহজাদা হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.) ১২৯২ থেকে ১২৯৬ খ্রিষ্টাব্দে মহান ওস্তাদজী হযরত শাহ শামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.) ও ১২ জন সুফী সাধকসহ পানিপথে জাহাজ যোগে এ অঞ্চলে আগমন করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। ওই সময়ে এ অঞ্চলের অমুসলিম অধিপতি রাজা বিক্রম কেশরীর একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হযরত মখদুম শাহদৌলার অতি নিকটে স্থানলাভ করেন। রাজা বিক্রম কেশরীর সৈন্যদের সাথে শেষ ধর্মযুদ্ধ চলাকালীন আছরের নামাজ আদায়রত অবস্থায় ওই গুপ্তচর হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহ.) এর মস্তক মোবারক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সুরে বিহারের রাজধানী মঙ্গলকোট মতান্তরে মহলকোটে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর মস্তক মোবারক থেকে অলৌকিকভাবে ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ উচ্চারিত হচ্ছিল। এটা দেখে রাজা মুসলমানদের ডেকে তাঁর মস্তক মোবারক দাফন করার নির্দেশ দেন। যে স্থানে তাঁর মস্তক মোবারক দাফন করা হয় আজও তা ‘ছের মোকাম’ নামে পরিচিত। এ ঘটনার পর রাজার প্রধান সেনাপতিসহ অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এরপর থেকে তিনি হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ.) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মহান ওই অলীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ হয় শাহজাদপুর।