ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হবিগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জ শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার (২০ আগস্ট) শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। জেলা বিএনপির দাবি, তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জানা গেছে, এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৭৮ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তিনজনকে পাঠানো হয়েছে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার হবিগঞ্জ শহরে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে শায়েস্তানগর পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শেষে মিছিলসহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ওই এলাকার বিএনপি নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। একপর্যায়ে বিএনপি পাল্টা আক্রমণ করলে তা ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রড-রামদা- লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায়। বিএনপিও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে নীরব ভূমিকা পালন করে। পরে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয় ও জি কে গউছের বাসভবনে হামলা চলায়। খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিহত করে।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন ও জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সিতু একই দাবি করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলার করে। এতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর দুই পক্ষকে ফিরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হবিগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

আপডেট সময় : ১১:২০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জ শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার (২০ আগস্ট) শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। জেলা বিএনপির দাবি, তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জানা গেছে, এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৭৮ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তিনজনকে পাঠানো হয়েছে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার হবিগঞ্জ শহরে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে শায়েস্তানগর পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শেষে মিছিলসহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ওই এলাকার বিএনপি নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। একপর্যায়ে বিএনপি পাল্টা আক্রমণ করলে তা ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রড-রামদা- লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায়। বিএনপিও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে নীরব ভূমিকা পালন করে। পরে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয় ও জি কে গউছের বাসভবনে হামলা চলায়। খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিহত করে।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন ও জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সিতু একই দাবি করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলার করে। এতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর দুই পক্ষকে ফিরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।